সুমন তালুকদার, দেগঙ্গা: নির্বাচনী প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে আইএসএফের (ISF) দূষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় নিহত হলেন এক তৃণমূল কর্মী। মৃতের নাম ইমরান হাসান, বয়স ১৭ বছর। মৃতের বাবাও একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। মঙ্গলবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা (Deganga) থানার সোহাই স্বেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংঘাটি গ্রামের ঘটনা। কিশোর ইমরানের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। ঘটনার পর থেকে একাধিক তৃণমূল কর্মীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাঁদের খোঁজে নেমেছে। কদিন আগেই বারাসতের কাছারি ময়দানে সিপিএমের সভা থেকে হিংসায় উসকানি দেওয়া হয়েছিল। ঠিক তারপরই দেগঙ্গায় এই ঘটনা ঘটল বলেই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। গোটা ঘটনায় আইএসএফের দিকে আঙুল উঠলেও পিছন রয়েছে সিপিএমের উসকানি। শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। তারই সর্বশেষ উদাহরণ দেগঙ্গা (Deganga)। সেখানে একই দিনে তিনটি পৃথক ঘটনায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালাল সিপিএম ও আইএসএফ। দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে প্রথমে দেগঙ্গার চাকলার রায়কোলা গ্রামে তৃণমূল কর্মীদের উপর বোমাবাজি করা হয়। বিকেলে চাকলারই বক্সিরহাট গ্রামে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিলে বোমাবাজি ও মারধর করা হয়। ঘটনায় ১০ জনেরও বেশি তৃণমূল কর্মী, সমর্থক আহত হন। এরপর রাতে বোমার আঘাতে মৃত্যু হল ইমরান হাসানের। মৃত ইমরানের বাবা মহম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, আমি তৃণমূল কর্মী। সন্ধেবেলা দলের কয়েকজনের সঙ্গে প্রার্থীদের হয়ে মিছিলে গিয়েছিলাম। অভিযোগ, রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে তাদের উপর বোমা ছোঁড়ে ও হামলা করে সিপিএম ও আইএসএফের লোকেরা। তার সঙ্গে থাকা ইমরানের গায়ে বোমার আঘাত লাগলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। বারাসাতের সাংসদ তথা তৃণমূলের বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কাকলি ঘোষ দস্তিদার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন এবং পরিবাবের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সিপিএম আইএসএফকে নিয়ে মৃত্যুর খেলায় মেতেছে। ওরা বাম জামানা ফিরিয়ে আনতে চায়। তৃণমূল ও সাধারণ মানুষ এসব মানবে না।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের সুফল গোটা মালদহ জেলা জুড়েই