গদ্দারের বক্তব্য অভিযোগযোগ্য অপরাধ! নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে ৩ দফা দাবি তৃণমূলের

Must read

দিল্লিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির নেতারা গণতন্ত্র বলে গলা ফাটায়, এই গেরুয়া শিবিরই বাংলায় গণতন্ত্রকে হুমকি দেয়। ছিঃ বিজেপি ছিঃ। গদ্দার অধিকারী বাংলার বুথ লেভেল আধিকারিকদের হুমকি দিয়েছেন যে, তাঁর নির্দেশ না মানলে জেলে যেতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।

কয়েকদিন আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনে গদ্দার BLO-দের জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন। এই হুমকি শুধুমাত্র কথার কথা নয়, এটি সুষ্ঠু , অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং সরকারি কর্মীদের উপর সরাসরি আঘাত। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পক্ষ থেকে কমিশনে পাঠানো অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, “শুভেন্দু অধিকারী প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘বিহারে যেমন বহু বিএলও জেলে গিয়েছেন, তেমনই বাংলায়ও যেতে হবে। আমরা এমন নথি দেব, যাতে আপনাদের জেলে যেতে হয়।’

আরও পড়ুন- শিল্প ও লগ্নি বাড়াতে ১৮ ডিসেম্বর রাজ্যে ‘বিজনেস ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’

তৃণমূলের অভিযোগ, SIR প্রক্রিয়া ঘোষণার পর এমন হুমকি “ইচ্ছাকৃত রাজনৈতিক ভয় দেখানো” এবং “নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার প্রয়াস।” পাশাপাশি অভিযোগপত্র বলা হয়েছে, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যদি সরকারি কর্মীদের জেলে পাঠানোর হুমকি দেন, তা শুধু অগ্রহণযোগ্য নয়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি সরাসরি আঘাত। একই সঙ্গে তৃণমূলের অভিযোগ পত্রে জানানো হয়েছে তিন দফা দাবিও।

প্রথম, গদ্দার অধিকারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হোক।
দ্বিতীয়, সমস্ত বুথ লেভেল আধিকারিক ও নির্বাচনকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে নির্দেশ জারি করা হোক।
তৃতীয়, নির্বাচন কমিশন যেন সর্বসমক্ষে ঘোষণা করে, কোনও রাজনৈতিক নেতা বা দল নির্বাচনী কর্মীদের ভয় দেখালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তৃণমূলের সাফ কথা, গদ্দারের কথা অভিযোগযোগ্য অপরাধ হিসেবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫১ ধারা অনুযায়ী ক্রিমিনাল ইনটিমিডেশন-এর আওতায় পড়ে। বাংলা ভোট প্রক্রিয়া যাতে কোনও রাজনৈতিক দলের ভয় বা প্রলোভনে প্রভাবিত না হয়, এই কারণে দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন।

Latest article