প্রতিবেদন : আজ ২৮ অগাস্ট। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম প্রিয় একটি দিন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবস। প্রতি বছর মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তাঁর প্রিয় ও আদরের ছাত্রসমাজকে নিয়ে দিনটি পালন করে থাকেন। তবে করোনা আবহে গত বছরের মতো এ বছরও এই বিশেষ দিনটি ভার্চুয়ালি পালিত হবে। শনিবার দুপুর দুটোয় কালীঘাটের বাসভবন থেকে ছাত্র-যুবদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : শহরে তৈরি হবে ফার্টিলাইজার হাব
বক্তব্য রাখবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় জোরদার প্রচার চালিয়েছে ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন দলের সেলিব্রিটি নেতা-নেত্রী-জনপ্রতিনিধিরা। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি এবার ত্রিপুরা-সহ ভিনরাজ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রতিষ্ঠাদিবস উদযাপন করবে। করোনা আবহে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মূলত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকেই গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। নেত্রীর বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়া মারফত সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে। তবে শুধু ছাত্র সমাজের উদ্দেশে ভাষণ রাখা নয়, এবার ভাষণ চলাকালীন সরাসরি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ, এই ভার্চুয়াল কর্মসূচি একমুখী নয়, দল ও ছাত্র সংগঠনের তরফ অভিনব প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে গোটা বিষয়টিকে দ্বিমুখী করার। যার অর্থ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে রাখতে ভার্চুয়ালি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পড়ুয়াদের সঙ্গে যাতে সরাসরি কথা বলতে পারেন, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন এমন অভিনব ব্যবস্থা? ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘দেশ ও রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ছাত্র-যুবদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছরের মতো এ বছরও সেই লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠাদিবসে বার্তা দেবেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্র ও যুবসমাজকে উৎসাহ জোগাতে সংগঠনের তরফ থেকে একাধিক চমক থাকছে। যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কথা বলার সুযোগ।’’ কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলেজ ও প্রেক্ষাগৃহে জায়ান্ট স্ক্রিন ও বড় পর্দায় তুলে ধরা হবে নেত্রীর বক্তব্য। তার আগে সকাল ৯টা থেকে প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র নেতারা রাজ্যজুড়ে একাধিক কর্মসূচি পালন করবেন। প্রথা মেনে দুপুর ১১টায় মেয়ো রোডে পতাকা উত্তোলন হবে। তৃণমূল ভবনের সামনেও পতাকা উত্তোলন হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হবে রাজ্যজুড়ে।