তৃণমূল কংগ্রেসে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি, বহিষ্কৃত বীরভূমের জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ

দল বিরোধী কাজ করে ভাবমূর্তি নষ্ট করলে তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) 'জিরো টলারেন্স' নীতি।

Must read

দল বিরোধী কাজ করে ভাবমূর্তি নষ্ট করলে তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি। আগেই এই সম্পর্কিত বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো-সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই অবস্থানে অনড় থেকে বীরভূমের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। তৃণমূলের TMCP-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এই খবর জানান।

বৃহস্পতিবার রাতে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। অডিও ক্লিপে বোলপুর থানার আইসি-কে অশ্রাব্য-কদার্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। এর প্রেক্ষিতে আইনানুগ কড়া বার্তা দেয় তৃণমূল। তাঁকে ক্ষমাপ্রার্থনা করার নির্দেশ দেয় দল। তিনি চিঠি লিখে ক্ষমা চান। এই নিয়ে আর অনুব্রতের পাশে দাঁড়িয়ে সরব হন থেকে বীরভূমের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউ। নেতার পথে হেঁটে পুলিশ আধিকারিককে অশালীন আক্রমণ করেন তিনি। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “এই আইসি দুর্নীতিগ্রস্ত। বোলপুর থানার আইসি প্রত্যেক বালি মাফিয়া, পাথর মাফিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে কাজ করে। এই লিটন হালদার অনুব্রত মণ্ডল নামক ব্র্য়ান্ডকে দমানোর চেষ্টা করছে।” সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টে তিনি বলেন, “লিটন হালদারের দম থাকলে, বুকের পাটা থাকলে সত্যি কথাটা জানাও। বালিঘাট থেকে বোলপুরের সাধারণ মানুষকে নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলেছ, তুমি অনুব্রত নামক শক্তিকে নিজের অপকর্মের মাধ্যমে দমানোর চেষ্টা করেছ। তোমার অপকর্মে অনুব্রতর শক্তি দমে না। এডিটিং করে ভয়েস তুলে আনার, এডিটিং করে সেই ভয়েস মার্কেটে দেওয়ার চেষ্টা করেছ।” তবে, পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান বিক্রমজিৎ। বলেন, তাঁর নেতার পাশে দাঁড়িয়ে আবেগে ওই সব কথা বলেছেন তিনি। কেউ তাঁর কথায় আহত হলে তিনি দুঃখিত। আইন আইনের পথে চলবে।

এর পরেই কড়া পদক্ষেপ করে তৃণমূল। চিঠি দিয়ে তৃণাঙ্কুর জানান, “আপনাকে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP) থেকে ৬ বছরের জন্য বরখাস্ত করা হল।
সামাজিক মাধ্যমে আপনার সাম্প্রতিক আচরণের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের দলবিরোধী কার্যকলাপ সংগঠনের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করেছে।
আমরা আশা করি সকল সদস্য সর্বদা WBTMCP-এর মর্যাদা এবং মূল্যবোধ সমুন্নত রাখবেন।“

Latest article