তুহিনশুভ্র আগুয়ান, দিঘা: শক্তি, পুণ্য, সুরক্ষা এবং কৃষিসমৃদ্ধির প্রতীক বলরাম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আজ, শনিবার দিঘার জগন্নাথধামে এলাহী আয়োজনের ব্যবস্থা হয়েছে। সকাল থেকেই এচলবে বিশেষ আচার অনুষ্ঠান। এর জন্য ইতিমধ্যে দিঘার জগন্নাথধামে দিল্লির ইসকন থেকে এসেছেন ২২ জন সন্ন্যাসী। বলরাম জয়ন্তীর সমগ্র আচার অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরাই। পৌরাণিক মতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বলরামের জন্ম শ্রাবণের পূর্ণিমা তিথিতে। অর্থাৎ রাখিবন্ধন এবং বলরাম জয়ন্তী একই দিনে পালিত হয়। রাখিবন্ধনের আক্ষরিক অর্থ রক্ষার বন্ধন।
আরও পড়ুন-কতগুলো প্রশ্ন তো থেকেই গেল…
অন্যদিকে বলরাম হলেন কৃষ্ণের প্রতিরক্ষাকারী বড় ভাই। তাই তাঁর জন্মদিন রাখিবন্ধন উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলা চলে। শনিবার ভোরে ভগবানের নিদ্রাভঙ্গের পরই শুরু হবে আচার-অনুষ্ঠান। সকালে বিশেষ আরতির মাধ্যমে থাকছে ভোগের ব্যবস্থা। এরপর বলরাম দেবকে অভিষেক করানো হবে জল, মধু, দুধ দিয়ে। পাশাপাশি চলবে শাস্ত্রীয় মন্ত্রোচ্চারণ। খোল-করতালের অপরূপ শব্দে ভরে উঠবে গোটা মন্দির প্রাঙ্গণ। তারপর নতুন পোশাকে সাজবেন বলরাম। ইতিমধ্যে এক ইসকন-ভক্ত নিজের হাতে তৈরি করেছেন সেই পোশাক। দুপুরে ৫৬ ভোগেও থাকছে বিশেষ বিশেষ পদ। জন্মদিনে বলরামের জন্য থাকছে ক্ষীরের পায়েস, তালের বড়া ও বেশ কয়েক রকম মিষ্টি। বিকেল থেকে চলবে নামগান। শেষ দিনের ঝুলন উৎসবও পালন হবে জগন্নাথধামে। গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতে রাধা ও মদনমোহনের মূর্তি ঝুলনবেদিতে এনে সপ্তাহখানেক ধরে চলা ঝুলন উৎসবের শেষ হবে। রোজ সন্ধ্যায় ঝুলন দেখতে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় হচ্ছে। আজ ঝুলনের শেষ দিনে পাশাপাশি বলরাম জয়ন্তীর জন্যেও পর্যটকদের ঢল নামবে বলে মনে করছেন জগন্নাথধাম কর্তৃপক্ষ। শনি-রবির ছুটিতে অতিরিক্ত ভিড় লেগেই থাকে দিঘায়। এবার বলরাম জয়ন্তী ও ঝুলন উৎসব উপলক্ষে শুক্রবার রাতেই বহু মানুষ দিঘায় পৌঁছেছেন। মথুরা, বৃন্দাবন, মায়াপুরে ঘটা করে বলরাম জয়ন্তী পালিত হয়। জগন্নাথধাম ট্রাস্টের সদস্য রাধারমণ দাস বলেন, বলরাম জয়ন্তী উপলক্ষে ইতিমধ্যে দিল্লি থেকে আমাদের ২২ জন অতিরিক্ত সন্ন্যাসী দিঘায় এসেছেন।