কৃষকদের বিক্ষোভের আগুন নিভছেই না। দিল্লি সীমানায় কৃষক আন্দোলন (Bharat Bandh 2024) অব্যাহত। ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে কৃষকদের প্রতিবাদ শুক্রবার চতুর্থ দিনে প্রবেশ করল। দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। কৃষক বিক্ষোভের আগুন নেভাতে ব্যর্থ কেন্দ্রের মোদি সরকার। কেন্দ্রের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরেও সমাধান সূত্র অধরা। এর জেরে দিল্লিতে মার্চ (Bharat Bandh 2024) জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।
গতকাল, বৃহস্পতিবার রাজধানী দিল্লি এবং হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল এবং অর্জুন মুন্ডা। কেন্দ্রের মন্ত্রীদের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও। বৈঠক শেষে অর্জুন মুন্ডা জানান, রবিবার কৃষকদের সঙ্গে আরও এক দফা আলোচনা হবে। এরপরই কৃষকরা বলেন, যতদিন না সমাধান সূত্র মিলছে ততদিন দিল্লি অভিযান চলবে। এদিকে আজ পাঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। এই বন্ধ সমর্থনও করেছে একাধিক কৃষক সংগঠন। তবে সংযুক্ত কিষান মোর্চা দিল্লি অভিযানের সঙ্গে যুক্ত নয়। প্রধানত গ্রামীন এলাকাগুলিতে এই বনধের চলছে।
আরও পড়ুন- প্রয়াত তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ইদ্রিস আলি, শোকপ্রকাশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
২০২০ সালের কৃষক আন্দোলনের স্মৃতি ফিরছে বলেই মনে করা হচ্ছে। মূলত তিন দফা দাবি নিয়ে দিল্লি অভিমুখে এই মিছিল। কৃষকদের মূল দাবি, আইন এনে সব রকম ফসলের জন্য নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে কৃষি ঋণ মকুব করার এবং স্বামীনাথন কমিশনের সমস্ত সুপারিশ কার্যকর করতে হবে। শুক্রবার ভারত বনধের মধ্যে, সিংঘু সীমান্তে আটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। কৃষকদের আন্দোলনের জেরে আগেই এই সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছিল। ট্রাফিক পুলিশ যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তার কথা জানিয়েছে। তবে, বনধের জেরে গাজিপুর সীমান্ত এলাকায় ভারী যানজট তৈরি হয়েছে।