আজ মুখ্যমন্ত্রী নবান্নয় বৈঠকে, রাত্তিরের সাথী নিয়ে পর্যালোচনা

Must read

প্রতিবেদন : আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত মেগা বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বিকেল সাড়ে ৪টেয় নবান্ন সভাঘরে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্যে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, হাসপাতালের সুপার, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, সব হাসপাতালের সিভিল ইলেক্ট্রিক্যাল, আইটি বিভাগের কর্মীদের যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরাও থাকবেন বৈঠকে। জরুরি ভিত্তিতে এই বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলের সঙ্গে আলোচনার পর বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। পর্যালোচনা হবে রাত্তিরের সাথী প্রকল্প নিয়েও।

আরও পড়ুন-বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিশ বাঁও জলে মানলেন খোদ সেনপ্রধান

উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডের পর রাত্তিরের সাথী প্রকল্পের আওতায় হাসপাতালের নিরাপত্তা পরিকাঠামো উন্নয়নে একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে। এর বাস্তবায়নের জন্য শীঘ্রই অর্থের সংস্থান করা হবে বলেও অশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। ওই প্রকল্পের আওতায় কর্মস্থলে মহিলাদের জন্য আলাদা শৌচালয় ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। মহিলা কর্মজীবীদের নিরাপত্তার জন্য রাতে কর্মস্থলে রাখা হবে বিশেষ মহিলা স্বেচ্ছাসেবক। প্রতিটি কর্মস্থল সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। ২৪ ঘন্টা ধরে চলবে বিশেষ নজরদারি। মহিলা কর্মজীবীদের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর চালু হচ্ছে। আপাতত ১০০ ও ১১২ নম্বরে সাহায্য চেয়ে ফোন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজগুলিতে ঢোকা প্রত্যেকেরই শ্বাস পরীক্ষা করা হবে। অর্থাৎ কেউ মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন কিনা, তা দেখা হবে। মহিলা কর্মজীবীদের যৌন নির্যাতন রুখতে প্রতিটি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ-সহ বিভিন্ন অফিসে বিশাখা কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।হাসপাতাল-মেডিকেল কলেজ সহ বিভিন্ন অফিসে মহিলাদের নৈশকালীন ডিউটি বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে মহিলা কর্মজীবীর সঙ্গে তাঁর পরিচিত কিংবা কোনও মহিলা সঙ্গিনীকে ডিউটি দেওয়া হয় তার উপরে বিশেষ জোর দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মহিলা হস্টেলে রাত ভর চলবে বিশেষ পুলিশ পেট্রলিং। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন থেকে চিকিৎসক-সহ প্রতিটি কর্মীকে গলায় ঝোলাতে হবে সচিত্র পরিচয়পত্র। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা আধিকারিক নিযুক্ত করা হচ্ছে। তাঁরাই পুরো নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্বে থাকবেন।

Latest article