প্রতিবেদন : আইএসএলে পরের ম্যাচের আগে ভুটান থেকে কি জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ফিরতে পারবে ইস্টবেঙ্গল? ঘুচবে কি মরশুমে টানা ৮ ম্যাচে হারের গ্লানি? হতাশ লাল-হলুদ সমর্থকরা আশা ছাড়ছেন না। কিন্তু থিম্পুতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে অভিযান শুরুর আগে প্রতিকূলতার পাহাড়ের সামনে অস্কার ব্রুজোর দল। শনিবার প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের সামনে ভুটানেরই পারো এফসি। তারা দেশের প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন দল। কিন্তু ভুটানের প্রতিকূল পরিবেশ চিন্তায় রাখছে লাল-হলুদ শিবিরকে। পাহাড়ি দেশটির উচ্চতা, কৃত্রিম ঘাসের মাঠ সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রাখছে ইস্টবেঙ্গলকে। সঙ্গে ঠান্ডা আবহাওয়া তো রয়েছেই।
আরও পড়ুন-কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে দিল্লিতে আছেন হাসিনা
শনিবারের ম্যাচে আবার ইস্টবেঙ্গল কোচের বেঞ্চে বসা নিয়েও একটা জটিলতা রয়েছে। রাত পর্যন্ত যা কাটেনি। এএফসি-তে নাম নথিভুক্ত না হওয়ায় শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেননি অস্কার। ইস্টবেঙ্গলের দাবি, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের গাফিলতিতেই এটা হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে আগে জানানো সত্ত্বেও ফেডারেশন ঠিক সময় আরইসিসি ফর্ম জমা দিয়ে এএফসি-র ছাড়পত্র আনতে পারেনি। তবে ক্লাব ম্যানেজমেন্টের আশা, ম্যাচের আগেই অনুমতি মিলবে। না এলেও টেকনিক্যাল অফিসিয়াল হিসেবে বেঞ্চে বসতে পারবেন কোচ।
ভুটানে সমস্যার পাহাড় ডিঙিয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে গ্রুপের বাধা টপকানো কতটা কঠিন? সাংবাদিক বৈঠকে এসে সহকারী কোচ বিনো জর্জ ও ফুটবলার নাওরেম মহেশের মুখেও দুটি বড় সমস্যার কথা। কৃত্রিম ঘাসের মাঠ ও চাঙলিমাথাঙ স্টেডিয়ামের উচ্চতা। সঙ্গে ঠান্ডা হওয়া তো রয়েছেই। বিনো বলছেন, ‘‘আমরা কৃত্রিম ঘাসের মাঠে খেলিনি বহুদিন। তার উপর উচ্চতাও একটা ফ্যাক্টর। তবে আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তৈরি।’’ শুক্রবার বিকেলে ম্যাচ ভেনুতে অনুশীলন করেছেন নন্দ, দিয়ামনতাকোসরা। মহেশ পুরো ফিট না হলেও খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। বললেন, ‘‘এখানে প্রতিকূল পরিবেশ থাকলেও আমরা এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চাই।’’