প্রতিবেদন : চোটের ধাক্কায় ইস্টবেঙ্গল এখন আর ‘মিনি হাসপাতাল’ নয়, কার্যত হাসপাতালের চেহারা নিয়েছে। সাউল ক্রেসপো, আনোয়ার আলি, মহম্মদ রাকিপ, প্রভাত লাকরা এখনও চোট সারিয়ে ফিট হতে পারেননি। মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে কঠিন ম্যাচের আগে বড়সড় চোটের ধাক্কায় বাকি মরশুম থেকেই কার্যত ছিটকে গিয়েছেন আক্রমণ ও রক্ষণের দুই ভরসা ক্লেটন সিলভা এবং হিজাজি মাহের। আবার কার্ড সমস্যায় নেই জিকসন সিং। ফলে এই সাত গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে ছাড়াই শুক্রবার আরব সাগরের তীরে মুম্বই দ্বৈরথে নামতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal)। দলগঠন নিয়েই রাতের ঘুম উড়েছে কোচ অস্কার ব্রুজোর।
ক্লেটন, হিজাজির পরিবর্ত নেওয়া হবে কিনা, স্পষ্ট নয়। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের বাজেটে টান পড়ায় জানুয়ারি উইন্ডো শেষে কম টাকায় ফ্রি প্লেয়ার নেওয়া হলেও হতে পারে। না হলে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের নক আউটে ভুগতে হবে দলকে। আপাতত আইএসএলটা উতরে যেতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় ম্যানেজমেন্ট। জোড়াতালি দিয়ে, খেলোয়াড়দের পজিশন বদলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় ইস্টবেঙ্গল কোচ।
আইএসএলের সুপার সিক্সের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে আর পয়েন্ট নষ্ট করার সুযোগ নেই। অস্কার বলছেন, ‘‘খেলোয়াড়দের পজিশন বদলে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছি। সব বিভাগেই এটা করতে হবে। আগের ম্যাচগুলোতেও করেছি। তাছাড়া উপায় নেই।’’ রক্ষণ নিয়ে সবচেয়ে বেশি যেন চিন্তা অস্কারের। হিজাজির জায়গায় হেক্টর ইয়ুস্তে খেলবেন। কার্ড সমস্যায় কেরলের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলতে না পারা নন্দকুমার রাইট ব্যাকে ফিরছেন। যে পজিশনে আগের ম্যাচে খেলেছেন জিকসন। বাকি দুই ডিফেন্ডার লালচুংনুঙ্গা ও নিশু কুমার। মাঝমাঠে সৌভিক চক্রবর্তী, নাওরেম মহেশকে বাড়তি ওয়ার্কলোড নিতে হবে।
গোলের জন্য দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস, রিচার্ড সেলিস ও পি ভি বিষ্ণুর দিকেই তাকিয়ে থাকবে ইস্টবেঙ্গল। শেষ দুই ম্যাচে ভাল খেলে সমর্থকদের ভরসা দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার ফরোয়ার্ড সেলিস। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে তিনিই হতে পারেন লাল-হলুদের তুরুপের তাস। মুম্বইয়ের মাঠে ইস্টবেঙ্গলের রেকর্ড ভাল হলেও এবার প্রথম পর্বে যুবভারতীতে হেরেছেন দিয়ামানতাকোসরা। অস্কার বলছেন, ‘‘কঠিন ম্যাচ আমাদের জন্য। মুম্বইয়ে অনেক ভাল ফুটবলার রয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হবে।’’
দুপুরের বিমানে মুম্বই রওনা হওয়ার আগে সকালে যুবভারতীতে অনুশীলনে সেট পিস থেকে গোল করা এবং গোল আটকানোর মহড়া সারে ইস্টবেঙ্গল। কর্নার, সেন্টার থেকে সেলিস, দিমিত্রিয়স, হেক্টররা গোল করার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি হেক্টর, নিশুরা গোল আটকানোর অনুশীলনও করেন।
আরও পড়ুন- উপাচার্য নিয়োগ, শিক্ষামন্ত্রীকে রিপোর্ট পেশ করল বিশেষ কমিটি