মুম্বই, ১৬ মার্চ : প্রাক্তনদের অনেকে বলছেন বিশ্বকাপের পর তাঁকেই সাদা বলের অধিনায়ক হিসাবে পাকাপাকিভাবে দেখা যাবে। হার্দিক পান্ডিয়ার জন্য তার স্টেজ রিহার্সাল হয়ে যেতে পারে শুক্রবার।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম একদিনের ম্যাচে রোহিত শর্মা নেই। পারিবারিক কারণে ঘরের মাঠে খেলতে পারছেন না তিনি। মুম্বইয়ের লোকজনের এতে খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু হার্দিকের জন্য অবশ্যই বড় সুযোগ। অস্ট্রেলিয়ার (india vs australia) মতো দলের সামনে আরও একবার নিজের নেতৃত্বের স্কিল দেখানোর সুযোগ এসেছে। আইপিএলে হার্দিকের নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই উচ্চপ্রশংসিত হয়েছে।
সাত মাস পর ওডিআই জার্সিতে প্রত্যাবর্তন ঘটছে রবীন্দ্র জাদেজার। লম্বা চোটে বাইরে ছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার (india vs australia) বিরুদ্ধে টেস্টে জাদেজা ছন্দে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এবার চ্যালেঞ্জ একদিনের ম্যাচের। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। জাদেজা থাকা মানে রোহিতের দলের ব্যালান্স ঠিক থাকবে। তিনি এই দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এরসঙ্গে আরও একটা ঘটনা ঘটেছে। দশ বছর পরে একদিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ জয়দেব উনাদকাটের সামনে। তিনি অবশ্য টেস্ট সিরিজেও ছিলেন। তবে সুযোগ পাননি।
রোহিতকে বাদ দিলে পুরো দল নিয়ে মুম্বইয়ে খেলতে নামছে ভারত। বিরাট আগের দিন অপশনাল প্র্যাকটিসে না থাকলেও এদিন দলের সঙ্গে গা ঘামালেন। আমেদাবাদে সেঞ্চুরির পর কিং কোহলির দিকে নজর রয়েছে সবার। একইভাবে শুভমন গিলের দিকেও। তিনিও টেস্ট সেঞ্চুরি করে পা রেখেছেন আরব সাগরের তীরে। বিশ্বকাপে খেলতে হলে পাঞ্জাব ওপেনারকে এখন একদিনের ম্যাচেও রান করতে হবে। আর এটা এখন পরিষ্কার যে রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে বিশ্বকাপ কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। সুতরাং দল নিয়ে ভাবনাটা এবারই সেরে নেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অখিলেশ যাদব
প্রশ্ন অবশ্য তবু থাকছে। কে এল রাহুল শেষ দুই টেস্টে জায়গা পাননি। তিনি একেবারেই রানে নেই। তাহলে এই সিরিজে কী হবে রাহুলের? প্রথম ম্যাচে রোহিত না থাকায় রাহুলের প্রথম এগারোয় থাকা সমস্যা হবে না। কিন্তু তাঁকে রান পেতে হবে এবার। এদিকে, ঈশান কিসানের জন্য বিশ্বকাপ দলে নিজের জায়গা পাকা করার বড় সুযোগ এটা। তবে রাহুলকে দিয়ে কিপিং করানোর ভাবনাটা কিন্তু ভালমতোই আছে। এদিকে, মহম্মদ শামি নিজেকে সাদা বলে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ঠিক যেভাবে ‘কুলচা’ জুটিও। চাহাল প্রথম এগারোয় থাকবেন। প্রশ্ন কুলদীপ যাদবকে নিয়ে।
প্যাট কামিন্স নেই বলে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দেবেন স্টিভ স্মিথ। তাঁর জন্য স্বস্তি-অস্বস্তি দুটোই রয়েছে। স্বস্তি ওয়ার্নার ফেরায়। তিনি অবশ্য প্রথম ম্যাচে নাও খেলতে পারেন। তবে ফিরেছেন মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। আর উল্টোটা হল সিমার হ্যাজলউড ও ঝাই রিচার্ডসনকে না পাওয়া। তবে টেস্ট সিরিজ থেকে দেশে ফেরত পাঠানো অলরাউন্ডার অ্যাস্টন অগারকে ডেকে নেওয়া হয়েছে। স্মিথের জন্য সুবিধা এটাই যে, তাঁর দলে কয়েকজন অলরাউন্ডার রয়েছেন।