অলোক সরকার: দিনের শেষে এটাই ছবি। ডাউন মেমোরি লেনে ডুব দিলেন দুই প্রাক্তন। কথা যেন আর ফুরোয় না!
মাঠে দাঁড়িয়েই লম্বা আড্ডা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। বোর্ড প্রেসিডেন্ট ও টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচের আড্ডায় হয়তো উঠে এল সেই ম্যাচ। ২০০১-এর সেই অবিস্মরণীয় জয়। ভাজ্জির হ্যাটট্রিক। লক্ষ্মণ-দ্রাবিড়ের অমর উপাখ্যান। ভারতীয় ক্রিকেটের চিরকালীন লোকগাথা। সৌরভকে পরে জিজ্ঞেস করায় তিনি অবশ্য বললেন, সেরকম কিছু নয়। এমনিই কথা হচ্ছিল। এতদিন একসঙ্গে খেলেছি।
আরও পড়ুন-দল নেই রায়নার, বিস্মিত গাভাসকর
সন্ধ্যায় সৌরভ যখন মাঠে এলেন, ভারতীয় নেট গুটিয়ে গিয়েছে। রোহিত শর্মা মাঠে আসেননি। তবে তখনও কয়েকজন ছিলেন। বাড়তি সংযোজন, বিরাট কোহলি একটু আগেই বেরিয়ে গিয়েছেন! মাঠ ছাড়ার আগে ঋষভ পন্থ একাই এগিয়ে এলেন দাদার কাছে। আলাদা করে টিপস। উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসছেন! বাধ্য ছাত্রের মতো শুনলেন এই সিরিজের সহ অধিনায়ক। আরেকজন মাঠে থাকলে কী হত, আলোচনাসাপেক্ষ। কিন্তু বিরাট চিত্র সাংবাদিকদের এক ফ্রেমে ধরার সুযোগ দেননি। ফলে ভিকে-সৌরভ হয়ইনি।
আরও পড়ুন-জামানত বাজেয়াপ্ত হবে : আশিস
কিন্তু কিং কোহলির রানে ফেরার মরিয়া তাগিদ ততক্ষণে দেখে নিয়েছে ইডেন। এই ইডেনে ২০১৯-এর নভেম্বরে শেষ সেঞ্চুরি। তারপর আর সেঞ্চুরি নেই। সেই দাপটও নেই। এরমধ্যে জুড়ে গিয়েছে নানা বিতর্ক। হারিয়েছেন নেতৃত্ব। রোহিত শর্মা যতই তাঁর অফ ফর্ম আড়াল করার চেষ্টা করুন, বিরাট জানেন তাঁকে এবার রান করতে হবে। আর তার জন্য যা যা করার, সেটাই করে গেলেন ভরসন্ধ্যার ইডেনে। প্রায় নিঃশব্দে।
কীভাবে? বিকেলে মাঠে ঢুকে ডানদিকের দুই নেটের একটিতে টানা তিরিশ মিনিট কাছ থেকে ছুড়ে দেওয়া বল খেললেন। নির্দিষ্টভাবে অফ স্ট্যাম্পের উপরেই এল সেই বল। তিনি কোনওটা খেললেন, কোনওটা ছেড়ে দিলেন। তারপর পাশের নেটে গিয়ে আরও আধ ঘণ্টা ব্যাট করে নিলেন। প্রস্তুতি শেষ করে বিরাট যখন কাঁধে লাল ঢাউস কিট, হতে দুটো ব্যাট ঝুলিয়ে বেরিয়ে গেলেন, বেশ ক্লান্ত দেখাল। কিছুটা তৃপ্তও। পরীক্ষার পড়া ভাল হলে যেমন হয়, তাই। পরীক্ষা অবশ্য আজ, রবিবার।
আরও পড়ুন-৫৫ কেজিতে চানু
কে এল রাহুল নেই। তাহলে আজ রোহিতের সঙ্গী কে? ঋতুরাজ আর ঈশান কিসানের মধ্যে লড়াই হবে। শ্রেয়স ও বিরাট আসবেন এরপর। ঋষভও। লোয়ার মিডল অর্ডারে ১৪ কোটির দীপক চাহার। বড় রানের জন্য চাহার এখন বড় বাজি। কত রানের উইকেট এটা? এই ম্যাচে যিনি ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু করবেন, সেই চেতন শর্মার মনে হচ্ছে ১৭০-১৮০ হবে। তবে এটাও ক্যারিবিয়ানদের জন্য যথেষ্ট কি না, ভাবতে হবে। বিশেষ করে এই মাঠেই যখন একবার টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।