প্রতিবেদন : আজ আরও একটা শপথের দিন। এবার স্বৈরাচারী শাসকদলকে শাসন ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার শপথ নেওয়ার পালা। নতুন বছরের নতুন সূর্যের ছোঁয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস অঙ্গীকার করবে কেন্দ্রের জনবিরোধী সরকারকে গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধি দেওয়ার। সারা দেশে যে সরকার একটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, তাদের সরিয়ে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই হবে নতুন বছরে নতুন দিনের শপথ।
আরও পড়ুন-শেহবাগের পরেই ওয়ার্নার : গ্রেগ
২৬টা বছর পেরিয়ে আজ ২৭-এ পা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। আজ শপথ নেওয়ার দিন, নয়া অঙ্গীকারের দিন। আজ থেকে বাংলার মানুষের আশীর্বাদ-ভালবাসা-দোয়া পাথেয় করে আগামীর পথ চলা শুরু হবে। সামনেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কেন্দ্রের সরকারকে হটিয়ে দেশে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে।
আরও পড়ুন-চন্দ্রিমার নেতৃত্বে মহিলারা ‘সঙ্ঘবদ্ধ শপথ’ নিলেন
১৯৯৮-এ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যে দলটির পথচলা শুরু হয়েছিল সেই তৃণমূল কংগ্রেস আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে। বাংলার মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে পরপর তিনবার ক্ষমতায় এসেছে রাজ্যে। টানা তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলেই মানুষ ভরসা রেখেছে তাঁর ওপরে। এবার তাঁকে মধ্যমণি করেই ইন্ডিয়া জোট দেশের বুক থেকে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে উপড়ে ফেলবে এই বিশ্বাস মানুষের। মানুষের সেই বিশ্বাসকেই বাস্তবে পরিণত করার শপথ নিতে হবে।
আরও পড়ুন-নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা কাজ বন্ধ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের
আজ দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে গোটা বাংলা জুড়ে জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে পালিত হবে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। কলকাতায় তৃণমূল ভবনে সোমবার সকাল ১০টায় দলের পতাকা উত্তোলন করবেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। সেই সঙ্গে আরও একবার মনে করিয়ে দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসের ইতিহাস। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠিন লড়াই-সংগ্রামের কাহিনি। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী সারা বাংলা জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দিনটি পালিত হবে। দলের সাংসদ-বিধায়ক-মন্ত্রী-সাংগঠনিক স্তরের সকলেই শামিল হবেন এই প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে। দলনেত্রী বার্তা দেবেন আগামীর।