প্রতিবেদন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) বর্ষপূর্তি। বর্ষপূর্তির ঠিক আগে, বৃহস্পতিবার দেশের পরমাণু অস্ত্রসম্ভার আরও বাড়ানোর হুমকি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russ President Vladimir Putin)। কার্যত গোটা বিশ্বকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়ে রাখলেন তিনি। এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, পারমাণু অস্ত্রসম্ভার বাড়ানোর জন্য তাঁর সরকার ব্যয়বরাদ্দ আরও বাড়াতে চলেছে। কয়েকদিন আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হঠাৎই ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন। তারপরই হোয়াইট হাউসের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কিত নিউ-স্টার্ট চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার কথা জানিয়েছিলেন পুতিন। এর পরই রুশ প্রেসিডেন্টের এই হুমকিকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছ কূটনৈতিক মহল। পুতিনের এই প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) গতিপথকে বদলে দেয় কি না, সেটাই দেখার। যুদ্ধের বর্ষপূর্তির ঠিক আগে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টনি গুতেরেস।
আরও পড়ুন: আর্থিক সংকট, বেতন-ভাতায় কোপ পাকিস্তানে
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পুতিন তাঁর ভাষণে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন। এমনকী, সমুদ্রের ভিতর দিয়েও যেতে পারে এমন ক্ষেপণাস্ত্রও রুশ সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। এরই মধ্যে চিনের অন্যতম শীর্ষ কূটনীতিবিদ তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। সেখানেই ওয়াংকে পুতিন জানান, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আসন্ন মস্কো সফরের জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন। আগামী মার্চ কিংবা এপ্রিল মাসে রাশিয়া যেতে পারেন জিনপিং।
এদিকে ন্যাটো প্রধানের আশঙ্কা, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র এবং রসদ দিয়ে সাহায্য করতে পারে বেজিং। রাশিয়াকে অস্ত্র ও রসদ না দেওয়ার জন্য চিনকে অনুরোধ করেছেন ন্যাটো প্রধান। তবে এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় পরীক্ষামূলক যৌথ মহড়ায় নামতে চলেছে রাশিয়া এবং চিন। এই মহড়ায় অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ব্যবহার করতে পারে মস্কো।