প্রতিবেদন : সরাসরি বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারের কেল্লার মাঠের তাঁবু থেকে স্পষ্ট ভাষায় তাঁর ঘোষণা, আসুক কেন্দ্রীয় বাহিনী। হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট। পারলে বুথে বুথে ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক। এসব আমরা আগেও দেখেছি। কিন্তু ভোট তো দেবেন মানুষ। তাঁদের ভোটেই আমরা জিতব। তৃণমূলের ভোট গতবারের থেকে বাড়বে। সাফ কথা অভিষেকের। অভিষেক বুঝিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তিনি কোনও গুরুত্বই দিতে নারাজ।
জনস্রোতের মধ্যে দিয়ে নবজোয়ার (Trinamoole Nobo Jowar) ৫০ পূর্ণ করল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার-ঝড় শুরু হয়েছিল ২৫ এপ্রিল কোচবিহার থেকে। আজ শুক্রবার এই ঐতিহাসিক কর্মসূচি শেষ হচ্ছে কাকদ্বীপে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে। আজ মেগা জনসভার মধ্যে দিয়ে নেত্রী কী বার্তা দেন তা জানতে সকলেরই নজর থাকবে। গত ৫০ দিন ধরে বাংলা দেখেছে এক অভিনব জনসংযোগ কর্মসূচি— মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যে নিজেদের প্রার্থী নিজেরা বেছে দেওয়া। বিধানসভার অধিবেশনের বাইরে এই প্রথম মানুষ দেখল অভিনব অধিবেশন। জনসংযোগে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়। অভিষেককে একঝলক দেখতে আট থেকে আশির আকুলতা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় অপেক্ষা তাঁর জন্য। তাঁর কাছে নিজেদের বঞ্চনা, না-পাওয়ার কথা বলা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেইসব সমস্যার সমাধান। এ-সবই স্পষ্ট করে দিয়েছে বাংলার মানুষের কাছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা। এই অভিনব কর্মসূচির আজ, শুক্রবার শেষদিন। আজ অন্তিম পর্বে অভিষেক জনসংযোগ সারবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা পূর্ব-পশ্চিম এবং ফলতায়। রাতে থেকেছেন ডায়মন্ড হারবারে। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পৌঁছেছেন ডায়মন্ড হারবার। স্বাভাবিকভাবেই অন্তিম পর্বে পৌঁছেও নবজোয়ার (Trinamoole Nobo Jowar) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জনসংযোগ, রোড-শো কেন্দ্র করে তুমুল উৎসাহ-উদ্দীপনা আরও যেন কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। শত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও আটকে রাখা যায়নি অভিষেককে। নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে সব ঝড়-ঝাপটা হেলায় সামলে নবজোয়ার কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিশে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিয়েছেন। বাংলার দাবি আদায়ে এবার লড়াই দিল্লিতে। সেখানেও ১ কোটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর হতে তুলে দিয়ে বাংলার হকের টাকা ছিনিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। নবজোয়ারের ৫০ দিন উপলক্ষে এদিন ডায়মন্ড হারবারের ক্যাম্পে লেজার শো-এর আয়োজন করা হয়েছিল। এদিনের কর্মসূচির শেষে অভিষেক যান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। এই কর্মসূচি শেষের পরদিন ১৭ জুন শনিবার কালীঘাটের বাড়িতে দলের নির্বাচন কমিটির বৈঠক ডেকেছেন। উপস্থিত থাকবেন দলের সিনিয়র লিডাররা।
আরও পড়ুন- পিছনে ফেলল গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অসমকে, বিদ্যালয় ক্রীড়ায় বাংলার জয়জয়কার