প্রতিবেদন : সমস্ত মিথ্যাচারের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে হাজরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সমাবেশে (TMC Rally- Hazra)। বিকেল চারটেয়। মঙ্গলবার মুখের উপর জবাব দেওয়া হবে বিজেপির রটানো যাবতীয় কুৎসার। সোমবার একথা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন খোলাখুলিভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, মঙ্গলবারের সমাবেশ (TMC Rally- Hazra) কোনও কিছুর পাল্টা ভাবলে ভুল হবে। কিন্তু কেউ যদি মিথ্যাচার করে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করে তাহলে বিভ্রান্তি রুখতে তার প্রকৃত ব্যাখ্যা তো দিতেই হবে। সোমবার হাজরায় গেরুয়া শিবিরের সভা নিয়ে কুণাল ঘোষের শ্লেষাত্মক মন্তব্য, এতো সেলোটেপ মারা সভা। একা সভা করতে চেয়েছিল শুভেন্দু। কিন্তু আরএসএস তা হতে দেয়নি। মাথার উপর বসিয়ে দিয়েছে সুকান্তকে। শুভেন্দুকে মেনে নিতে হয়েছে সুকান্তর উপস্থিতি। দিলীপ বিজেপি-সুকান্ত বিজেপি-দলবদলু বিজেপি, নিজেদের মধ্যে চলছে একটা হাস্যকর নাটক। সভায় লোক জোটাতে পারেনি। আশপাশের জেলা থেকে লোক এনে মুখরক্ষার মরিয়া প্রয়াস। এভাবে কি ভাঙা কাচ জোড়া দেওয়া যায়? আসলে হাজরার মানুষ এদিন দেখলেন গদ্দারের কীর্তি। একদিন এই হাজরা দিয়েই ঘনঘন যাতায়াত করত শুভেন্দুর কনভয়। নেত্রীর বাড়িতে গিয়ে শুধু দাও দাও। পদ দাও, মন্ত্রিত্ব দাও, আরও কত কী। আর আজ সেই বিশ্বাসঘাতক, বেইমানের কাণ্ড দেখলেন মানুষ। লজ্জা! তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্ন, ১২ তারিখ তো পার হয়ে গেল, কী হল? সরকারও রয়ে গেল, কিছুই ঘটল না। হাতে রইল ১৪ তারিখ। হিম্মত থাকলে বীরবাহা হাঁসদার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ১৪ তারিখে ঝাড়গ্রামে ঢুকুক শুভেন্দু। খুব তো বলেছিল, জুতার তলায় রাখি। সাহস থাকলে এবারে ঝাড়গ্রামে যাক। বিস্মিত তৃণমূল মুখপাত্রের মন্তব্য, হচ্ছেটা কী! একদিকে শুভেন্দু ১২ তারিখ দেখাচ্ছে, অপরদিকে দিল্লিতে বসে দিলীপ ঘোষ বলছেন ১২ তারিখের আদৌ কোনও রাজনৈতিক তাৎপর্য নেই। আবার শুভেন্দু এখন ১৩ জানুয়ারির কথা বলে ক্রমশই পিছু হটছে। এ কেমন রাজনীতি? পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়ে এদিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, আদালতে যে কেউ যেতেই পারেন। তবে ও বরং রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবকে চিঠি লিখে পঞ্চায়েত ভোটে শান্তিসেনা চেয়ে পাঠাক। বিস্মিত কুণালের প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গের জন্য কি সংবিধান সংশোধন হবে? আসলে চাওয়াটা একটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে শুভেন্দুর। বাবার কাছে চেয়ে তৃণমূলের পদ পেয়েছিল, নেত্রীর কাছে হাত পেতে উচ্চপদ, মন্ত্রিত্ব, সবকিছু পেয়েছে। তারপরে অমিত শাহের পা ধরেছে। এখন আদালতের কাছে চাইছে। কিন্তু প্রতি বুথে ২ জনের নামও বলতে পারবে না শুভেন্দু।
আরও পড়ুন-দলকে বেইজ্জত করছে শুভেন্দু : দিলীপ