আত্মরক্ষায় আজকের দুর্গারা

অসুরনাশিনী দুর্গার যুগ পেরিয়েছে। আজকের দুর্গারাও আত্মরক্ষায় রুখে দাঁড়ান, হাতে অস্ত্র তুলে নেন। অশুভের বিনাশ করেন। তবে বদল হয়েছে তাঁদের অস্ত্রের। রেলের যাত্রী-নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী মহিলা আরপিএফ কনস্টেবলরা হাতে তুলে নিয়েছেন এক অসাধারণ অস্ত্র। লিখলেন সৌরভকুমার ভূঞ্যা

Must read

দেবী দুর্গা যার জন্ম হয়েছিল মহিষাসুর বধের উদ্দেশ্যে। যখন স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল অসুরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ তখন সেই মহামায়া নারীশক্তির বন্দনা করেছিলেন দেবতারা। প্রার্থনা করেছিলেন মর্ত্যবাসীও। অসুরদলনী এলেন ঠিকই কিন্তু বিনা অস্ত্রে! তাঁর দশহাতে সেই অস্ত্র প্রদান করলেন দেবতারা। শিব দিলেন ত্রিশূল, বিষ্ণু দিলেন চক্র, ইন্দ্র দিলেন বজ্র, ব্রহ্মা দিলেন কমণ্ডলু— এইভাবে দশহাতে দশরকমের অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তিনি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হলেন। সেই সময়টা পেরিয়ে এলেও সেই জায়গাটা কিন্তু আজও একইরকম রয়েছে। আজকের দুর্গারাও আত্মবিশ্বাসী। তাঁরাও আত্মরক্ষায় এবং প্রিয় পরিজনদের সুরক্ষায় তৎপর। মানুষের পাশে দাঁড়াতে তাঁরাও নানা ভূমিকায় অবর্তীর্ণ। ঠিক যেমন রেলের যাত্রী-নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন মহিলা আরপিএফ কনস্টেবলরা।

আরও পড়ুন-নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি

ভারতবর্ষের বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াত করেন। এই যাতায়াতের একটি অন্যতম ও ভরসার মাধ্যম হল রেল। কেবল পরিবহণ নয়, রেল যোগাযোগ দেশের আর্থ-সামাজিক চালিকাশক্তির অন্যতম স্তম্ভ। শহর থেকে গ্রাম, ধনী থেকে গরিব— ভারতবর্ষের সকল প্রান্তের, সকল শ্রেণির কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন এই রেলপথে যাতায়াত করেন। তাই যাত্রী-সুরক্ষার ব্যাপারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই কাজে সেই মহিলাবাহিনীর এক বড় অংশ প্রতিদিন দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
কিছুদিন আগেই একটা খবর ভাইরাল হয়েছিল নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে। মহিলা আরপিএফ কনস্টেবল রিনা বাড়িতে কেউ না থাকায় তাঁর একবছরের ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে ডিউটি করতে চলে এসেছিলেন কারণ ওর আগেই দিল্লি স্টেশনে একটা দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে ডিউটির প্রবল চাপে ছুটি নেওয়ার উপায় ছিল না। তাহলে তাঁদের নিরাপত্তা কোথায়? কেই-বা তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে? কেই-বা অস্ত্র তুলে দেবে তাঁদের হাতে। সেই নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করতে এবং সেই নারী-ক্ষমতায়নের মর্যাদা দিতে ভারতীয় রেল কিছুদিন আগে তাদের হাতে তুলে দিয়েছে এক অভিনব অস্ত্র।
চার দেওয়ালের গণ্ডি ছাড়িয়ে সমাজের সর্বক্ষেত্রে আজ নারীদের গর্বিত পদচারণা। আরপিএফ বা রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিদিন ভারতীয় রেলে যে কোটি কোটি যাত্রী যাতায়াত করেন তাঁদের মধ্যে মহিলা-শিশুদের সংখ্যাও কম নয়। মূলত তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে আরপি এফের মহিলা কনস্টেবলদের ওপর। নারীদের নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত যাতায়াতের ক্ষেত্রে পুরুষ কর্মীদের তুলনায় মহিলা কর্মীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন। সেকথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেল তাদের সুরক্ষা-ব্যবস্থায় বেশি বেশি করে মহিলাদের নিয়োগ করছেন। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মহিলা কর্মী আছেন রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সে।
আরপিএফ-এ যাঁরা মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন সেইসব মহিলা আরপিএফ কর্মীর নিরাপত্তা তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি তাঁরা নিজেরাই নিরাপত্তার অভাবে ভোগেন তাহলে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সহায়তা প্রদানের কাজটি ঠিকঠাক ভাবে করতে পারবেন না। তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ভারতীয় রেল অতি-সম্প্রতি তাঁদের হাতে একটি অভিনব অস্ত্র তুলে দিয়েছে। সেটি হল চিলি স্প্রে। কী এই চিলি স্প্রে, কেনই-বা এই অস্ত্র তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সে-বিষয়ে বলার আগে দেখে নেওয়া যাক মহিলা আরপিএফ কর্মীরা রেলে যাত্রীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোন কোন ভূমিকা পালন করেন।
এককথায় বলতে গেলে মহিলা আরপিএফ কর্মীদের কাজ হল রেলের মহিলা ও শিশু যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাঁদের রেলযাত্রাকে সুন্দর ও ঝামেলামুক্ত করা।

আরও পড়ুন-যাদবপুরে বারবার পড়ুয়ার মৃত্যু, উদাসীন কর্তৃপক্ষ, প্রতিবাদে টিএমসিপি

এই কাজ যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হয় তার জন্য রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের কয়েকটি বিভাগ রয়েছে। যেগুলি হল মেরি সহেলি, অপারেশন মাতৃশক্তি, অপারেশন এগেইনস্ট হিউম্যান ট্রাফিকিং প্রভৃতি। মহিলা আরপিএফ কর্মীরা মূলত এইসকল বিভাগে কাজ করেন।
মেরি সহেলি
‘মেরি সহেলি’ বিভাগের দায়িত্ব হল মহিলা ও শিশু যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। প্ল্যাটফর্ম বা ট্রেনে কোনেও মহিলা যদি হেনস্থার শিকার হন সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া। মহিলা কামরায় যাতে পুরুষ যাত্রীরা উঠে না পড়তে পারে তার জন্য টহলদারি করা। কোনও মহিলা যাত্রী যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, হেনস্থার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁদের সহায়তা প্রদান করা। মহিলা যাত্রীদের বিরুদ্ধে যদি কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটে তাহলে তার তদন্ত করা এবং অপরাধীদের ধরে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া। একাকী মহিলা যাত্রী, বয়স্কা যাত্রী, গর্ভবতী নারী থাকলে তাঁদের যোগাযোগ রাখা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা। যাত্রার আগে কিংবা ট্রেন চলাকালীন কোনও মহিলা যাত্রী যদি সমস্যায় পড়েন ১৩৯ নং বা আরপিএফ হেল্পলাইনে ফোন করেন, তাহলে তাঁদের সাহায্য করা। বর্তমানে প্রায় ২৫০টির বেশি মেরি সহেলি দল প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২,৯০০ মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সহায়তা প্রদান
করে থাকে।
অপারেশন মাতৃশক্তি
‘অপারেশন মাতৃশক্তি’র কর্মীদের কাজ হল রেলে ভ্রমণরত গর্ভবতী মহিলাদের ওপর নজর রাখা। ট্রেন চলাকালীন যত গর্ভবতী প্যাসেঞ্জার রয়েছেন তাঁদের সাহস দেওয়া এবং পাশাপাশি সেই মহিলাদের যদি প্রসববেদনা ওঠে তাহলে আরপিএফ-এর মহিলা কর্মীরা তাঁদের সবরকম সাহায্য করেন। ২০২৪ সালে অপারেশন মাতৃশক্তির মহিলা আরপিএফ টিম ১৭৪ জন মহিলাকে সাহায্য করেছেন রেলে নিরাপদভাবে তাদের সন্তানের জন্ম দিতে। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মা এবং শিশুর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা-সহায়তাও প্রদানে উদ্যোগী হয়েছে। শুধু তাই নয়, একাধিক মহিলা যাত্রীর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা বিভিন্ন সময়ে।

‘অপারেশন এগেইনস্ট হিউম্যান ট্রাফিকিং’
নারী ও শিশু পাচার একটি জ্বলন্ত সমস্যা। আরপিএফ-এর ‘অপারেশন এগেইনস্ট হিউম্যান ট্রাফিকিং’ বিভাগের মহিলা কনস্টেবলদের কাজ হল এই নারী ও শিশু পাচার রোধে সাহায্য করা। এর পাশাপাশি মহিলাদের কামরার দিকে কড়া নজরদারি, যে-কোনও অবস্থায় তাঁদের এবং শিশুদের সুরক্ষাকেই নিশ্চিত করে তাঁরা। এর থেকেই বোঝা যায় মহিলা আরপিএফ কনস্টেবলদের কাজ কতখানি সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ। সেই জন্য তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা আগে দরকার। সে-কথা মাথায় রেখে এবং নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি মর্যাদা জানিয়ে ভারতীয় রেল তাদের হাতে তুলে দিয়েছে চিলি স্প্রে ক্যান।
চিলি স্প্রে ক্যান
এই অস্ত্রটি মহিলা কনস্টেবলদের নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা ও পরিষেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চিলি স্প্রে হল এক ধরনের আত্মরক্ষাকারী উপকরণ। ছোট ক্যানের মধ্যে কেপসাইকিন নামক এক ধরনের গুঁড়ো থাকে যা আক্রমণকারীর উপর প্রয়োগ করলে তার শরীরে তীব্র জ্বালা সৃষ্টি হয়। এটি তাকে কিছুক্ষণের জন্য স্থবির বা দুর্বল করে দেবে যা নারী কনস্টেবলদের সাহায্য করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে।
এই চিলি স্প্রে ক্যান কেন গুরুত্বপূর্ণ এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? চিলি স্প্রে নারী কনস্টেবলদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে। প্ল্যাটফর্ম বা রেলে কাজ করার সময় মাঝে মাঝে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যেখানে অপরাধীদের সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতা সীমিত থাকে। সেই ক্ষেত্রে চিলি স্প্রে প্রয়োগের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে আক্রমণকারীদের দুর্বল করে দিয়ে তারা নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারে। সেই সঙ্গে ওই সময়কার উত্তপ্ত পরিস্থিতি, ঝুট-ঝামেলার মোকাবিলা করার সুযোগ পান। সবথেকে বড় কথা, এই অস্ত্র তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
আত্মরক্ষার অস্ত্র হিসেবে চিলি স্প্রে ব্যবহারের বেশকিছু সুবিধা রয়েছে। এটি ব্যবহার করার জন্য শারীরিক শক্তির প্রয়োজন হয় না। কৌশলে এটি প্রয়োগ করে প্রতিপক্ষকে দুর্বল ও ঘায়েল করা যায়। এটি দূর থেকে প্রয়োগ করা যায়। সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের সঙ্গে শারীরিক সংঘর্ষের ঝুঁকি এড়ানো যায় যা নারী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি আক্রমণকারীর ওপর অতি-দ্রুত কাজ করে। ফলে সেই মুহূর্তে মহিলাদের পক্ষে তার মোকাবিলা করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। চিলি স্প্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। এটি আক্রমণকারীর প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। জিনিসটি সহজলভ্য। তাই ব্যাপকভাবে ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই। পাশাপাশি এটি সহজে বহন করা যায় এবং গোপন রাখা যায়। এর প্রয়োগ এবং ইতিবাচক কার্যকারিতা নারীর মনে সাহস ও আত্মবিশ্বাস জাগায়। ফলে নিজেদের কাজ তাঁরা দক্ষতার সঙ্গে করতে পারেন। অপরাধীদের কাছেও এর মাধ্যমে একটা বার্তা যায়। নারীরা নিরস্ত্র নয়, এই ভয়টা তাদের অপরাধ করতে গিয়ে অবশ্যই ভাবাবে। অপরাধীর মধ্যে ভয় সঞ্চার করতে পারলে অপরাধের সংখ্যা কমতে বাধ্য। নারী কনস্টেবলরা নিজেরা নিরাপদ হলে বাকিদের নিরাপত্তা দেওয়ার কাজটা অনেকটা সহজ হয়, সুন্দর হয়। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষদেরও তাদের প্রতি আস্থা বাড়ে। ফলে রেল প্রশাসন ও যাত্রীদের মধ্যে মানসিক বোঝাপড়া মজবুত হয়।
চিলি স্প্রে ব্যবহারের কিছু অসুবিধাও আছে। এটি ব্যবহারে প্রতিপক্ষের শারীরিক যে অক্ষমতা সৃষ্টি হয় তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় না। মূলত এটি চোখে স্প্রে করলে বেশি কার্যকরী হয়। তাই প্রয়োগ করার সময় নিশ্চিত করতে হয় যে সেটা যেন আক্রমণকারীর চোখে গিয়ে পড়ে। অনেক সময় বাতাস প্রতিকূল হলে সেটা সম্ভব হয় না ঠিকঠাক। পাশাপাশি এটি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে নারীকে সচেতন ও আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে। সেখানে সমস্যা হলে এর ঠিকঠাক প্রয়োগ হবে না।
প্রসঙ্গত বলার, নারীর নিরাপত্তায় চিলি স্প্রে বা পিপার স্প্রে ব্যবহার পৃথিবীর নানা দেশে হয়ে থাকে। তবে সব জায়গায় ব্যবহারের নিয়ম এক নয়। কোথাও এর ব্যবহারে আইনগত কোনও বাধা নেই। আবার কোনও কোনও দেশে এটি ব্যবহারে আইনগত কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। নিয়মবিধি যাই থাক না কেন, বিশ্বব্যাপী এর ব্যবহার এটা প্রমাণ করে যে নারীর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই সামান্য জিনিসটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বর্তমানে এক অতি উন্নত সভ্যতার নাগরিক আমরা। এই সময়ে দাঁড়িয়ে চিলি স্প্রে নামক অস্ত্রের ব্যবহার কতটা যুক্তিসঙ্গত? এটা ধরে নেওয়া যায় ভারতীয় রেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ইতিবাচক ফল পাওয়ার পর এই অস্ত্রটি মহিলা কনস্টেবলদের হাতে তুলে দিয়েছে। যা খুব গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। রেলের মহিলা যাত্রীদের পাশাপাশি মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়নের মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত বাস্তবসম্মত এবং ইতিবাচক। নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এটি একটি শুভ উদ্যোগ। এর ফলে মহিলা কনস্টেবলরা নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে দক্ষতার সঙ্গে তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে রেল-যাতায়াতে মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় হবে। সবমিলিয়ে চিলি স্প্রে রেলের নারী নিরাপত্তায় একটি অভিনব ও অত্যন্ত কার্যকরী উদ্যোগ।

Latest article