পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে প্রথম দফায় ট্রাকে করে প্রায় ১৭২টি পেটি ইলিশ (Hilsa) আজ ঢুকল রাজ্যে। ইলিশ বোঝাই আরও দুটি ট্রাক সীমান্ত পেরিয়ে রাজ্যে আসছে বলেই খবর। বহুদিন ধরেই টালবাহানার পর অবশেষে পুজোর আগে রাজ্যে এল পদ্মার ইলিশ। এরপরেই পাইকারি বাজার থেকে ইলিশ পৌঁছে যাবে রাজ্যের বিভিন্ন খুচরো বাজারে। গত ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, দুর্গাপুজো উপলক্ষে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-বিদ্যুৎ ভবনে দুর্গাপুজো কন্ট্রোল রুম ও হোয়াটসঅ্যাপ সার্ভিসের উদ্বোধনে অরূপ বিশ্বাস
যোগান কম বলেই স্বাভাবিকভাবেই এবার বাংলাদেশের ইলিশ মাছের দাম একটু হলেও চড়া হতে পারে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ এই বিষয়ে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার চলতি বছরে গতবারের থেকেও কম ইলিশ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। বাংলাদেশের নদীতেও সেভাবে মাছ ধরা পড়ছে না। তাই অনুমতি থাকলেও সেই পরিমাণ ইলিশ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পাঠাতে পারবে কিনা সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। পাইকারি বাজারে মাছ নিলাম করে বিক্রি হয়। এই বছরে কেজি প্রতি ১৪০০ টাকা দামে বিক্রি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। খুচরো বাজারে যে যেরকম পারবে বিক্রি করবে।
আরও পড়ুন-বিধবাদের নিয়ে কুকথা, পাটনা হাইকোর্টকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের ইলিশ এরাজ্যের মৎস্যপ্রেমীদের ভাগ্যে জুটবে কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। অবশেষে অনেক জলঘোলার পর বাংলাদেশ সরকার পুজোর আগে ভারতের জন্য ২৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের নদীতে মাছ ধরা হবে। এরপর থেকেই ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।