লখনউ, ৩০ মার্চ : ব্যর্থ শিখর ধাওয়ানের লড়াই। অধিনায়কের লড়াকু হাফ সেঞ্চুরি সত্ত্বেও লখনউ সুপারজায়ান্টসের কাছে ২১ রানে হেরে গেল পাঞ্জাব কিংস। অন্যদিকে, রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারের ধাক্কা সামলে চলতি আইপিএলে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল লখনউ।
আরও পড়ুন-মায়াঙ্কের গতিতে বেসামাল পাঞ্জাব
এই ম্যাচে আলাদা করে নজর কাড়লেন লখনউয়ের তরুণ পেসার মায়াঙ্ক যাদব। ২১ বছর বয়সি মায়াঙ্কের বলে রীতিমতো গতি রয়েছে। সেই গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে হিমশিম খেলেন ধাওয়ান, জনি বেয়ারস্টোর মতো ব্যাটাররা। অভিষেক আইপিএল ম্যাচে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৭ রান খরচ করে ৩ উইকেট নিলেন মায়াঙ্ক। একঝাঁক তারকাকে টেক্কা দিয়ে তিনিই ম্যাচের সেরা। অবলীলায় দেড়শোর বেশি গতিতে বল করলেন তরুণ ডানহাতি পেসার। চলতি আইপিএলের দ্রুততম বলও (১৫৬ কিলোমিটার) করলেন তিনি।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
যদিও লখনউয়ের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি। ব্যক্তিগত ১৫ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন কে এল রাহুল। হাল্কা চোট রয়েছে। তাই এদিন তাঁকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে খেলিয়েছে লখনউ। এরপর দেবদূত পারিক্কল ৯ এবং মার্কাস স্টয়নিস ১৯ রান করে আউট হলে চাপ আরও বেড়ে গিয়েছিল। ওই পরিস্থিতিতে পাল্টা লড়াই শুরু করেন কুইন্টন ডি’কক ও নিকোলাস পুরান। কিন্তু ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরেই আউট হয়ে যান ডি’কক। তিনি ৩৮ বলে ৫৪ রান করেছেন। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে কাগিসো রাবাডার বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন পুরানও। তাঁর অবদান ২১ বলে ৪২। আয়ূষ বাদোনি ১০ বলে ৮ রান করে আউট হন। রবি বিষ্ণোইয়ের অবদান শূন্য।
তবে এর পরেও যে লখনউ স্কোরবোর্ডে দুশোর কাছাকাছি রান তুলেছিল, তারজন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য ক্রুনাল পান্ডিয়ার। তিনি ২২ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থেকে যান। পাঞ্জাবের স্যাম কারেন ২৮ রানে ৩ উইকেট দখল করেন। রান তাড়া করতে নেমে, শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার ধাওয়ান ও জনি বেয়ারস্টো। প্রথম উইকেটে ঝড়ের গতিতে ১০২ রান যোগ করার পর ২৯ বলে ৪২ করে মায়াঙ্কের শিকার হন বেয়ারস্টো।
আরও পড়ুন-ওয়াশিং পাউডার ভাজপা, হাই প্রফুল্ল, হাই গদ্দার
প্রভসিমরণ সিংও (৭ বলে ১৯) মায়াঙ্কের শিকার। এরপর জিতেশ শর্মাকেও (৬) প্যাভিলিয়লে ফিরিয়ে লখনউকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন মায়াঙ্ক। আর ৫০ বলে ৭০ রান করে ধাওয়ান মহসিন খানের বলে আউট হতেই পাঞ্জাবের হার কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ দিকে লিয়াম লিভিংস্টোন ১৭ বলে অপরাজিত ২৮ রান করেও দলকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচাতে পারেননি।