সংবাদদাতা, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া : অযোধ্যা পাহাড়, গড় পঞ্চকোট, বান্দোয়ান তো আছেই, এবার পুরুলিয়ায় ধর্মীয় ট্যুরিজম সার্কিট গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সোম ও মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলা সফরে গিয়ে এই সার্কিট গড়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পুরুলিয়ার ইতিহাসে ধর্মভিত্তিক কিছু নিদর্শনস্থল আছে। এগুলিকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে পর্যটনস্থল হিসাবে গড়া হবে। এর ফলে পর্যটকরা পুরুলিয়ার প্রাচীন ইতিহাসের সঙ্গেও পরিচিত হতে পারবেন। পাশাপাশি বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বলেন, বহু প্রাচীন মন্দির রয়েছে বাঁকুড়ায়। এখানে ধর্মীয় সার্কিট গড়ে তোলা সম্ভব।
আরও পড়ুন-পুরুলিয়ায় ফিল্মসিটি
এছাড়া স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান তৈরি করতে হােম স্টে তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, রূপসী বাংলাকে ঘিরে গড়ে উঠুক নতুন পর্যটন সার্কিট।
পুঞ্চা থানার পাকবিড়রা গ্রামে সপ্তম শতাব্দীর বিশাল জৈনক্ষেত্র রয়েছে। এখানে প্রচুর তীর্থঙ্করের মূর্তি, মন্দির ও মন্দিরের অবশেষ রয়েছে। এই ঐতিহাসিক পাকবিড়রা থেকেই মানভূমের বঙ্গভুক্তি আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। বাম জমানায় এখানে বঙ্গভুক্তি স্মারক স্তম্ভ গড়ার কাজ শুরু হয়েছিল, শেষ হয়নি। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, পাকবিড়রায় মহাবীরের একটি মূর্তির আশু সংস্কার প্রয়োজন। তিনি বলেন, জেলায় দেড় হাজার বছরের পুরনো জৈন নিদর্শন বহু জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন-“টেন্ডারে স্বজনপোষণ চলছে” বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
হিন্দু ধর্মের প্রাচীন নিদর্শনও পুরুলিয়ায় কম নেই। কংসাবতী নদীতীরে, আড়শা ও জয়পুর থানার সীমানায় দেউলঘাটায় দেড় হাজার বছরের পুরনো পাথরের দুর্গামূর্তি ও পোড়ামাটির তৈরি ইটের মন্দির আছে। গড় পঞ্চকোটে আছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন মন্দির। এগুলিকে ঘিরেই পর্যটন সার্কিট ট্যুরিজম গড়ে উঠবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, খুব শীঘ্র এই কাজ শুরু হয়ে যাবে।