সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : শীতের পর্যটকদের জন্য খুশির খবর। প্যাঙ্গোলিন ও সিভেট আসতে চলেছে ঝাড়গ্রাম জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে। তার জন্য এনক্লোজার তৈরি। পুজো থেকেই ভ্রমণার্থীদের ভিড় বেড়েছে। করোনা-কালে সঙিন হয়ে পড়ে পর্যটনশিল্পের অবস্থা, তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা হাজার মানুষের ভবিষ্যৎ।
খোদ মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টায় ঝাড়গ্রামে বড়দিনের উৎসব চলছে ১০ দিন। ঝাড়গ্রাম শহর সেজেছে আলোয়। পর্যটকদের ঢল দেখে খুশি হোটেল ও লজ ব্যবসায়ীরা। খুশি ভাড়াগাড়ির মালিক, চালকও। ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে প্রতিদিন ১০-১৫ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে। সন্ধে পর্যন্ত পর্যটক আসছেন। জুলজিক্যাল পার্কটি বনবিভাগের অধীন। পার্কে প্রথম ফিশিং ক্যাটের দুটি বাচ্চা হলেও একটি বাঁচেনি। নিজের দুই সন্তানকে নিয়ে চিতাবাঘ সোহেল, হর্ষিণী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বাড়তে বাড়তে নীলগাইয়ের সংখ্যা হয়েছে প্রায় ৩৫টি। শাল-সেগুনের জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে শতাধিক চিতল হরিণ। রয়েছে ভালুক, খেঁকশেয়াল, ময়ূর, অজগর ইত্যাদি।
আরও পড়ুন-মজুত করা আলু নিয়ে বিপন্ন হিমঘর মালিকরা
এই মরশুমে শহর ও লাগোয়া অঞ্চলে নতুন হোম-স্টে, লজ হয়েছে। কাঁকড়াঝোড়ে প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হয়েছে গেস্ট হাউস। বেসরকারি হোটেলও হয়েছে। পর্যটকেরা চলে যাচ্ছেন দূর বেলপাহাড়ির ঘাগরা জলপ্রপাত, তারাফেনি বাঁধ, খাঁদারানি লেক, গাডরাসিনি পাহাড়, গোপীবল্লভপুরের হাতিবাড়ি, ঝিল্লি পাখিরালয়, নয়াগ্রামের রামেশ্বর মন্দির ইত্যাদি।