মহারাষ্ট্রে সেতু বিপর্যয়ে তলিয়ে গেলেন পর্যটকরা, দ্রুত উদ্ধারের বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

লোহার সেতু ভেঙে বিপর্যয় পুণেতে (Pune)। স্বাভাবিকভাবেই ডবল ইঞ্জিন মহারাষ্ট্রে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে উঠল প্রশ্ন।

Must read

লোহার সেতু ভেঙে বিপর্যয় পুণেতে (Pune)। স্বাভাবিকভাবেই ডবল ইঞ্জিন মহারাষ্ট্রে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে উঠল প্রশ্ন। ইন্দ্রায়ানি নদীর উপর একটি লোহার সেতু ভেঙে নিখোঁজ বহু পর্যটক। ইতিমধ্যেই এনডিআরএফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছে। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন পর্যটকের খোঁজ নেই বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় দ্রুত উদ্ধার কাজ চালানো ও প্রয়োজনীয় সাহায্যের হাত বাড়ানোর বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রে ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে পুরনো সেতু ভেঙে মৃত ৫, নিখোঁজ বহু, নিন্দায় সরব কুণাল ঘোষ

রবিবার হওয়ায় কুণ্ডমালা পর্যটনকেন্দ্রের এদিন খুব ভিড় ছিল। সেতুটি ভেসে যাওয়ার সময়ে তার উপর পদচারী পর্যটকরা যেমন ছিলেন, তেমনই চলছিল দুচাকার যানও। সেতু ভেঙে যাওয়ায় উপরে থাকা ব্যক্তিরা তলিয়ে যান। অন্তত ২৫-৩০ পর্যটক সেই সময়ে সেতুর উপরে ছিলেন বলে দাবি স্থানীয়রদের। স্থানীয়রাই তিনজনকে দ্রুত উদ্ধার করেন। তবে একজন তলিয়ে চলে যান বলেও জানানো হয়।

আরও পড়ুন-অবশেষে রবিবার ভোরে কুলতলিতে খাঁচাবন্দি হল বাঘ

দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারের কাজ যাতে দ্রুত হয় ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের দ্রুত পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায় তার বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ”পুণের কাছে ইন্দ্রায়ানি নদিতে মর্মান্তিক নদীর উপর সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় গভীরভাবে দুঃখিত। অনেক পর্যটকের ভেসে যাওয়ার খবর অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। এই শোকের সময়ে দুর্ভাগ্যের শিকার পরিবারগুলির প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আবেদন উদ্ধারকাজ দ্রুত করুন এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের প্রতি সবরকমের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। যাঁরা নিখওঁজ তাঁদের দ্রুত নিরাপদে উদ্ধারের প্রার্থনা করি এবং এই অপূরণীয় ক্ষতির সময়ে যেন তাঁদের পরিবার বেদনার সঙ্গে লড়াইয়ের শক্তি অর্জন করতে পারে।”

এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠেছে কুণ্ডমালা পর্যটনকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে। পাশে একটি সেতু থাকলেও লোহার সেতুর ব্যবহার নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেই সঙ্গ একসঙ্গে শতাধিক লোক পুরোনো লোহার সেতুতে একসঙ্গে ওঠাতেও নজরদারি প্রশ্নের মুখে।

Latest article