প্রতিবেদন: যোগীপ্রশাসনের অপদার্থতা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তার হাতেনাতে প্রমাণ মিলল আবারও। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি, প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের পথে রেকর্ড গড়ল যানজট। টানা ৩০০কিমি ধরে ট্রাফিক জ্যাম, ভাবা যায়? গাড়ি-বাস-ট্রাক সহ নানা মাপের যানবাহনের দীর্ঘসারি যেন মিশে গিয়েছে দিগন্তে। মনে হতে পারে অন্তবিহীন সরিসৃপ। তথ্যবিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের বৃহত্তম যানজটের সাক্ষী হল যোগীরাজ্য। বিধ্বস্ত তীর্থযাত্রীদের জটলা থেকেও ভেসে আসছে একই মন্তব্য। শুরুটা অবশ্য বসন্ত পঞ্চমী থেকেই। এই ভয়াবহ যানজটের জন্য স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে যোগী সরকারের অপদার্থতার দিকে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বাজেটে অবহেলা বাংলাকে অর্থনৈতিক বেইমানি মানুষের সঙ্গে
ভুক্তভোগীরা জানাচ্ছেন, অনেকেই আটকে রয়েছেন ৪৮ ঘন্টা ধরে। কারও বা অভিজ্ঞতা, ৫০ কিমি পার হতে লেগেছে ১২ ঘন্টা। বারাণসী, কানপুর, লখনউ ছাড়াও প্রভাব পড়েছে পাশের রাজ্য মধ্যপ্রদেশেও। প্রশ্ন উঠেছে, মহাকুম্ভে কোটি মানুষের ভিড়ের সম্ভাবনার কথা কি উত্তরপ্রদেশের গেরুয়া প্রশাসনের অজানা ছিল? হর্ন-চিৎকারের মাঝে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ক্লান্ত-শ্রান্ত পুণ্যার্থীদের করুণ অবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মহাকুম্ভ সামলানোর মতো পরিকাঠামো বা পারদর্শীতা কোনওটাই নেই ডবল ইঞ্জিন সরকারের। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয়, যানজট সামলে তীর্থযাত্রীদের প্রয়াগরাজে পৌঁছানোর পথ পরিষ্কার না করে পুলিশ বলছে, আর এগবেন না । বাড়ি ফিরে যান। কয়েকদফার আগুন, পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পরে মহাকুম্ভ-পরিচালনায় সত্যিই আরও এক বড় ব্যর্থতা। সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের মতে, মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে সমাধান করা উচিত ক্ষুধার্থ, তৃষ্ণার্ত তীর্থযাত্রীদের যন্ত্রণাকে।