প্রতিবেদন : বন্দে ভারতকে কেন্দ্র করে বিজেপির সস্তা এবং নোংরা রাজনীতি প্রকাশ্যে। বন্দে ভারত উত্তরপ্রদেশে তিন-তিনবার আক্রান্ত হয়েছে। পরিষেবা নিয়ে একরাশ অভিযোগ। তখন বাংলায় ঢিল ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে বিজেপি। দাবি উঠেছে এনআইএ তদন্তের। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছে, বাংলায় যদি এনআইএ হয় তাহলে উত্তরপ্রদেশ বাদ যায় কেন! সেখানে বন্দে ভারতে কয়েক লক্ষ টাকা চুরি গিয়েছে। সিবিআই-ইডি যাচ্ছে না কেন? বাংলায় অবাঞ্ছিত দু’-একটি ঘটনা হলেই বিজেপির লাফালাফি শুরু হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, যারাই ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক তাদের যথাযোগ্য শাস্তি হোক। কিন্তু অন্য কাউকে দিয়ে এই কাজ করিয়ে সস্তার রাজনীতি হচ্ছে না তো! প্রশ্ন এড়ানো যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রকে দুষে চায়ের দোকান বিটেক পাশের
ট্রেন রাজনীতি এখানেই শেষ নয়। সোমবার গভীর রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রেলের তরফে জানানো হয়, রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য বেশকিছু ট্রেন কয়েকদিন বাতিল করা হয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল শতাব্দী এক্সপ্রেস। কেন বন্দে ভারত, শতাব্দী তো রয়েছে। এই প্রশ্ন আগেও উঠেছে। এবার আরও স্পষ্টভাবে উঠল। শতাব্দী বন্দে ভারতের সমকক্ষ। প্রায় অধিকাংশ যাত্রীরই পছন্দ শতাব্দী এক্সপ্রেস। জানুয়ারির বরা মরশুমে এনজেপি-দিঘা, মালদা টাউন-এনজেপি, কলকাতা-হলদিবাড়ি ট্রেনগুলি বাতিল হয়েছে কয়েক দিনের জন্য। মানুষকে শতাব্দীর জায়গায় বন্দে ভারতে চাপতে বাধ্য করে খুল্লামখুল্লা ট্রেন রাজনীতিতে নেমে পড়ল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার! শতাব্দীর গুরুত্ব বুঝতে রেল আধিকারিকদের এতো সময় লাগছে! শতাব্দী ও বন্দে ভারতের পথ প্রায় একই। তাহলে রক্ষণা-বেক্ষণের কাজে কিছু দিন যদি বাতিল করতেই তাহলে বন্দে ভারত নয় কেন? কেন শতাব্দীর মতো ট্রেনে হাত পড়ল?
আরও পড়ুন-উত্তরের একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল বিজ্ঞপ্তিতে বিপাকে যাত্রীরা
শুধু শতাব্দী কেন বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল হয়েছে যেগুলি অধিকাংশ সময় রিজার্ভেশনই পাওয়া যায় না। তাহলে ট্রেন রাজনীতি করে ফের বাংলাকে বিপাকে ফেলার অভিযোগ কী উড়িয়ে দেওয়া যায়? বন্দে ভারত নিয়ে বিজেপির লাফালাফি দেখলে বোঝা যায়, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। চব্বিশের নির্বাচনের আগে বন্দে ভারতকে অন্যতম ট্রাম্পকার্ড করার চেষ্টা কিন্তু বাংলাতে এসেই সব তির ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। সেই হতাশা থেকেই হয়তো শতাব্দী-সহ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলি কিছুদিন বন্ধ রাখার পরিকল্পনা কিংবা নিজেদের লোকজনকে দিয়েই ঢিল মারার রাজনীতি। মানুষ বুঝতে পারছেন, বিজেপির কোথাও একটা ধাক্কা লেগেছে। তা চেষ্টা করেও মেরামত করতে পারছে না।