মণীশ কীর্তনিয়া, খেজুরি: পূর্ব মেদিনীপুরে নবজোয়ার কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে কাঁথি থেকে খেজুরি হয়ে চণ্ডীপুর— দিনভর দাপিয়ে বেড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে আমজনতা। যেখানেই তিনি গিয়েছেন, সেখানেই আট থেকে আশির ভিড় ছুঁতে চেয়েছে। রোড-শো থেকে মৎস্যজীবীদের সমস্যা শোনা হোক কিংবা খেজুরি থেকে ফেরার পথে শ্যামচকে মহিলারা কথা বলতে চাইলে গাড়ি থেকে নেমে প্রায় ২০ মিনিট ধরে ক্লান্তিহীনভাবে তাঁদের গ্রামের রাস্তা-জল-আলো-সহ নানা সমস্যার কথা শোনা! সব শুনে আশ্বাস দেওয়া, যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান হবে। একইসঙ্গে গ্রামবাসীদের জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে গায়ের জোরে টাকা আটকে রেখেছে।
আরও পড়ুন-বাড়ল গরমের ছুটি, কবে খুলবে স্কুল? জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে দেশপ্রাণ বীরেন শাসমলের বাড়িতে গিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তারপর বসন্তিয়াতে ছিল তাঁর রোড শো। রোড শো-এ যথারীতি ছিল মানুষের ঢল। রোড শো-এর পর খেজুরির রসুলপুর ঘাট পেরিয়ে বোগাতে যান তিনি। সেখানে তাঁকে সামনে পেয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, গত কয়েক বছরে গদ্দাররা এই মৎস্যজীবীদের জন্য কিছুই করেনি। কোনও কথা রাখেনি। যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়েছিল তার কোনও কথাই রাখেনি। মৎস্যজীবীদের জন্য বিধানসভা বা সংসদে কোনওদিন মুখ খুলতেও দেখা যায়নি তাদের, এমনও অভিযোগ করেন রবীন্দ্রনাথ বর, অজিতকুমার দত্তর মতো মৎস্যজীবীরা। তাঁরা বলেন, আমরা এখানে কোনও সুযোগ-সুবিধা পাই না।
আরও পড়ুন-পর্যটকদের জন্য সামার স্পেশ্যাল ট্রেন রেলের
কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের সবদিক থেকে ভাতে মেরেছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি রাজ্য সরকার মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ পিভিসি কার্ড করেছে। তা থেকে কিছু সাহায্য পান তাঁরা। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়েও স্থানীয় রসুলপুর নদীর ওপর তৈরি হয়নি ব্রিজ। এর জন্য মাছ নিয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়। মাছ পচে যায়। দেরি হওয়ায় মাছের দাম পাওয়া যায় না। রয়েছে জালের সমস্যাও। সব শুনে তাঁদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তাঁদের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।