প্রতিবেদন : রবিবার পেট্রাপোলে যাত্রী টার্মিনাল উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভাবখানা এইরকম যেন পেট্রাপোলের যে সমস্যা, এক ধাক্কায় সমাধান করে দিলেন। যদিও এর দায়িত্ব এড়াতে পারে না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই ঘটনাকে সামনে রেখেই বিজেপির মিথ্যাচার প্রকাশ্যে এনে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেট্রাপোলে একটা যে অরাজকতা ছিল তা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগের কারণেই সমাধান হয়েছে। এর মূল কারণ হল সুবিধা পাস। এই পাস চালু করার পর ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে পরিবর্তন এসেছে। যে ব্যবসায়িক লেনদেনের কাজের জন্য কম করে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হত, তা এখন একদিনেই সেরে নেওয়া যাচ্ছে। ফলে প্রায় ৮ লক্ষের বেশি গাড়ি যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিরাট সুবিধা হয়েছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সুবিধা পাসের ব্যাপক প্রশংসা করে বিশ্বব্যাঙ্ক। এরপর ভারত সরকার বাধ্য হয় এই ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দিতে। এখানেই শেষ নয়, যে পরিস্থিতির কারণে পেট্রাপোল একটা সময় ব্যবসায়ীদের কাছে বিভীষিকা হয়ে উঠেছিল, সেই পরিস্থিতি নিয়মের নিগড়ে বাঁধা পড়ায় সকলেই খুশি। এটা দেশকে নতুন পথ দেখায়। সেই কারণে ভারত সরকারের তরফে বাংলাকে গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ডও দেওয়া হয়।
এই সুবিধা পাস বিষয়টি কী? সুবিধা একটি ই-পোর্টাল। অনলাইন। বাংলাদেশে রফতানি করার জন্য টাইম স্লট বুক করা হয়। এবং একইসঙ্গে টার্মিনালেও গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে পেট্রাপোলে যানজট হচ্ছে না। বাণিজ্যও দ্রুত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এক্স-হ্যান্ডেলে বলেছেন, নিশ্চিতভাবে রাজ্য সরকারের পক্ষে এটি একটি গর্বের মুহূর্ত। নাগরিকবান্ধব সরকার কেমন হওয়া উচিত তার উদাহরণ তৈরি করেছে বাংলার সরকার। ফলে রবিবার যারা পেট্রাপোলে অকারণ উৎসাহ দেখাল, তারা মাথায় রাখুক এই তথ্যগুলি।