সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : শনিবার রাতে মাত্র দু দফা বৃষ্টি। ঝড় নেই। তাতেই দুটি বড় শালগাছ পড়ে ঐতিহ্যবাহী ছাতিমতলা মুহূর্তে তছনছ। ছাতিমতলায় (Chatimtala) ‘আমার প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ, আত্মার শান্তি’র বাণী খোচিত সৌধও স্থানচ্যুত। একটি দুর্বল শালগাছের ডাল বৃষ্টিতে ভেঙে ছোট গাছের উপর পড়ে। যার ভার সেটি নিতে পারেনি।
আরও পড়ুন-প্রকৃতির আপন হাতে সাজানো কনকদুর্গা মন্দির
ঘটনাটি নজরে আসতেই, কাঠুরিয়া দিয়ে গাছ কেটে ছাতিমতলা (Chatimtala) পরিষ্কার করা হয়েছে। সৌধটিকে বেদিতে আপাতত শুইয়ে রাখা হয়। বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সর্বেক্ষণ বিভাগের সঙ্গে ইতিমধ্যে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কথা বলেছে। ছাতিমতলা শান্তিনিকেতনের প্রাণভোমরা। প্রাচীনতম স্থান। ১৮৬২ সালে ব্রহ্মাশ্রম এবং বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার আগে রায়পুরের জমিদারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে পথের ধারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ দুটি ছাতিম গাছ দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন। পরে জমিদারের কাছ থেকে মাত্র পাঁচ টাকায় ওই জমি কেনেন। ১৮৬৪ সালে দালানবাড়ি বানিয়ে শান্তিনিকেতন নাম রাখেন মহর্ষি। ১৮৯১-তে তৈরি হয় উপাসনাগৃহ। ১৯৫০ থেকে দীক্ষাদিবসের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে ছাতিমতলায়। ১৯৫৩-য় কার্যনির্বাহী উপাচার্য কবির ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরাদেবী চৌধুরানির উদ্যোগে আমূল সংস্কার হয় ছাতিমতলার। পৌষ উৎসবেরও সূচনা হয় এখান থেকে।