অপরাজিতা জোয়ারদার, রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার জয়হাটে চাকলা আদিবাসী গ্রাম। সহজ সরল এই মানুষগুলো গ্রামে দুর্গোৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে ১৯৮৬ সাল থেকে কতিপয় শিক্ষকের উদ্যোগে পুজো শুরু করেন। সকলের সাহায্যে কোনও রকমে পুজো হত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো কমিটিগুলোকে অনুদান দেওয়ার পর থেকে ধুমধাম করে এই গ্রামেও পুজো হচ্ছে। আদিবাসী মানুষজন খুব ভালভাবে আনন্দ উপভোগ করছেন।
আরও পড়ুন-৬ আসনে জয়ী তৃণমূল
ব্যস্ততা বাড়ছে চাকলা আদিবাসী সিধো কানহু সঙ্ঘ সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির প্রস্তুতিতে। থিম বা জাঁক নয় শুধু ভক্তি-শ্রদ্ধা ও নিয়মরীতি মেনে হয়। এখানকার পুজোর একটি বিশেষত্ব, পুজো শুরুর আগে আদিবাসীদের ধর্মগুরু মাঝিথানে পুজো দেওয়া হয়। এখানে চাকলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দারাও পুজোয় শামিল হন। দশমীতে আদিবাসী নৃত্যের পাশাপাশি মেলা বসে। পূর্বে গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে পুজোর আয়োজন করত, তবে বর্তমানে রাজ্য সরকারের অর্থানুকূল্যে পুজোর আয়োজন করা হয় বলেই জানান গ্রামবাসীরা। রয়েছে জনসাধারণের জন্য ভোগের ব্যবস্থা। পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর অনুদান দেওয়ার পর থেকে তাঁরা আর্থিক প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করেই পুজো করতে সক্ষম হয়েছেন।