প্রতিবেদন : আজ, ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম দিবস (Nandigram Diwas)। ১৭ বছর আগে, এই দিনেই সিপিএমের পুলিশ ও হার্মাদদের গুলিতে ঝরেছিল ১৪টি প্রাণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে প্রতিবছর এই দিনটিকে কৃষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, কৃষক দিবসে সকল কৃষক ভাইবোন ও তাঁদের পরিবারকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। নন্দীগ্রামে (Nandigram Diwas) কৃষিজমি আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে প্রতিবছর এই দিনটিকে আমরা কৃষক দিবস হিসেবে পালন করি। বাংলার কৃষকদের নিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের কৃষকরা আমাদের অন্নদাতা, আমাদের গর্ব। তাঁদের প্রতিটি প্রয়োজনে আমরা তাঁদের পাশে থাকি। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি, শস্যবিমার যাবতীয় খরচ বহন করা থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আর্থিক সহায়তা, কৃষকের অকালমৃত্যুতে কৃষক পরিবারের পাশে দাঁড়ানো থেকে কৃষক পেনশন প্রদান, ১৮৬টি কিসান মান্ডি চালু করা থেকে শুরু করে বিনামূল্যে কৃষিযন্ত্র প্রদান— সবকিছুই আমরা করেছি। আগামিদিনেও আমরা এভাবেই আমাদের কৃষকদের পাশে থাকব।
আরও পড়ুন- সভায় আসার সাহস হল না বিজেপির! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন অভিষেক
এদিন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং তৃণমূলের আইটি সেলের রাজ্য সভাপতি তথা তমলুকের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য গোকুলনগর মালপল্লিতে এবং সোনাচূড়ায় শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। দেবাংশু বলেন, এই মঞ্চ থেকে ভোটের দাবি করব না। বরং আপনারা আশীর্বাদ করুন। আমরা যেন লড়তে পারি। গদ্দারকেও তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, বাংলার ও নন্দীগ্রামের গরিব মানুষদের ভাতে মারার চক্রান্তে যিনি শামিল হন, তিনি তো গদ্দার বটেই। আবার বিজেপির হয়ে যিনি এই তমলুকে দাঁড়াতে আসছেন, তিনি কিছুদিন আগেই বিচারকের আসনকে কলুষিত করে এসেছেন। বিচারকের আসনে বসে একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলিহেলনে রায় দিয়েছেন। এদিন গোকুলনগর পঞ্চায়েতের অধিকারীপাড়া থেকে তৃণমূলের বাইক র্যালি হয়।