পেগাসাস নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুললেই শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। সাংসদ শান্তনু সেনের পর ফের বুধবার রাজ্যসভায় সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ জন সাংসদকে। রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিজেপি বিরোধী শ্লোগান তুলে পেগাসাস ইস্যুতে মোদি সরকারের জবাব চাইছিলেন তাঁরা। এরপরই সংসদ অবমাননার অভিযোগ তুলে দলের প্রতিবাদী সাংসদদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি জানান, সংসদীয় নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে সারাদিনের মত বহিষ্কার করা হল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দোলা সেন, নাদিমুল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, শান্তা ছেত্রী, অর্পিতা ঘোষ এবং মৌসম নূরকে।
আরও পড়ুন-বাংলার মডেলে হবে ত্রিপুরার উন্নয়ন, বিজেপিকে হটাতে পারে তৃণমূলই: কুণাল
সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর পর থেকেই বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে রাজ্যসভা ও লোকসভার কাজ লাগাতার বিঘ্নিত হয়েছে। পেগাসাস সহ বিভিন্ন ইস্যুতে মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছে সরকার ও বিরোধী পক্ষ। বুধবারও অধিবেশন শুরু হওয়ার পর পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানিয়ে ও তদন্ত চেয়ে ওয়েল নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ সাংসদ। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু। প্রতিবাদী সাংসদদের বুধবারের জন্য সংসদ ভবন ছাড়ার নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয় বিরোধী শিবিরে। তীব্র প্রতিবাদ জানান লোকসভার সাংসদ ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সরব হন অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদরাও।
আরও পড়ুন-ম্যান মেড বন্যা: ডিভিসির বিরুদ্ধে মোদির কাছে গর্জে উঠলেন মমতা
এদিকে রাজ্যসভা থেকে তৃণমূল সাংসদদের বরখাস্ত করার পর রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের প্রতিক্রিয়া, ‘আজ দুপুর দুটোয় রাজ্যসভায় আসুন। সমগ্র বিরোধী দল মোদী-শাহের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে একত্রিত হবে।’ পাশাপাশি হ্যাশট্যাগে লেখেন, ‘খেলা হবে’। উল্লেখ্য, পেগাসাস নিয়ে সংসদীয় নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে পুরো বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে।