শেয়ার কেলেঙ্কারির তদন্তের দাবি, সেবির দফতরে প্রতিবাদে তৃণমূল, সঙ্গে দুই দলও

বৃহত্তর শেয়ার কেলেঙ্কারির তদন্ত চেয়ে মুম্বইয়ে সেবির সদর দফতরে জোরালো দাবি করলেন তৃণমূলের তিন সাংসদ ও শরিক নেতারা।

Must read

প্রতিবেদন : বৃহত্তর শেয়ার কেলেঙ্কারির তদন্ত চেয়ে মুম্বইয়ে সেবির সদর দফতরে জোরালো দাবি করলেন তৃণমূলের তিন সাংসদ ও শরিক নেতারা। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেবি-প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদরা। এই বৈঠকে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন সাগরিকা ঘোষ ও সাকেত গোখেল। সঙ্গে ছিলেন শিবসেনা ও এনসিপির নেতৃত্ব। শেয়ার বাজারে দুর্নীতি নিয়ে মুম্বইয়ে সেবি-র দফতরের বাইরে তৃণমূল, শিবসেনা ও এনসিপির নেতাদের প্রতিবাদ এবং স্লোগান চলে। নেতাদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, সেবির উচিত বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করা। কিন্তু সেবি বিজেপিকে রক্ষা করছে। এক্সিট পোল কেলেঙ্কারির তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। সেবির সদর দফতরে যাওয়ার আগে এদিন তৃণমূল সাংসদরা শারদ পাওয়ারের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। বৈঠক হয় উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গেও। সেবি-র প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভায় দলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শেয়ার বাজারে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে মানুষের। কী করে হল তার তদন্ত করতে হবে। এক্সিট পোল নিয়ে যেভাবে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কল্যাণ। তাঁর কথায়, কোন কোন কোম্পানিকে দিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছে, এরা কারা, এদের মালিক কারা, কীভাবে এরা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যুক্ত, তার সবটা বের করতে হবে। ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। প্রায় একই অভিযোগ করেছেন সাংসদ সাগরিকা ঘোষও। তিনি বলেন, আমরা সংসদে এটা নিয়ে সরব হব। এটা সবে শুরু। ছোট, মধ্যবিত্ত, ‘আম আদমি’ বিনিয়োগকারীরা ৩০ লক্ষ কোটি টাকা হারিয়েছেন। এর জন্য দায়ী কে?

আরও পড়ুন-ট্র্যাকে ফিরেই সোনা নীরজের

শিবসেনার নেতা অরবিন্দ সাওয়ান্ত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট সেবিকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছে। এবার একটি তদন্ত হোক। সাধারণ মানুষের এর থেকে ফল পাওয়া উচিত। এটি একটি রাজনৈতিক প্রতারণা কারণ আমাদের দেশের নেতারা এতে জড়িত।

Latest article