আগরতলা : এখন যা দেখছেন তা ট্রেলর। ২০২৩ সালে ৫০ রিলের পুরো সিনেমা দেখবেন মানুষ। ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশে বাংলার মন্ত্রী বললেন, বেশি দেরি করবেন না। এরপর বাড়ির ছেলেমেয়েরা জিজ্ঞেস করবে দিদিকে এত দেরিতে আনলেন কেন? বাংলা যদি দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশন, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী-সহ নানা প্রকল্পের সুবিধা পায় তাহলে ত্রিপুরার মানুষ পাবেন না কেন? আসুন বাংলার মতো এখানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হই। আর বিজেপি জেনে রাখুক সন্ত্রাস করে আমাদের রোখা যাবে না। বললেন ইন্দ্রনীল সেন।
আরও পড়ুন-ITC Investment: রাজ্যে আইটিসির বিনিয়োগের প্রস্তাব
পুরভোটের আগে ত্রিপুরায় বিজেপির লাগাতার সন্ত্রাস। তার মাঝেই মঙ্গলবার প্রকাশ হবে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার। সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইন্দ্রনীল বলেন পুরভোটের আগে টানা হামলা মামলা, হুমকি, প্রার্থীদের প্রচার করতে না দেওয়া, সভার অনুমতি বাতিল করা এতসব কিছু করেও তৃণমূল কংগ্রেসকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। আসলে ভয় পেয়েছে বিজেপি।
প্রতি মূহুর্তে ত্রিপুরায় বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে। ক্রিকেটার- মন্ত্রী মনোজ তেওয়ারি বলেন, বাংলার মতো ত্রিপুরাতেও উন্নয়ন চাই। আপনারাই পারেন সেই রাস্তা তৈরি করতে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় পুরভোটের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। থাকবেন ইন্দ্রনীল সেন, সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক, সুখেন্দুশেখর রায়, জুন মালিয়া, সোহম চক্রবর্তী, অর্পিতা ঘোষ-সহ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-বিজেপিতে ১ লাখে পুরভোটের টিকিট! ঘনিষ্ঠ অডিও সংলাপের দুই নেতাই
পুরভোটকে সামনে রেখে সোমবার ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটি তৈরি হয়েছে। আগরতলা পুরনিগম সহ সোনামুড়া, তেলিয়ামুড়া, আমবাসা, ধর্মনগর, অমরপুর, বিলুনিয়া, কৈলাশা, কুমারঘাট এর জন্য নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে দলের স্টিয়ারিং কমিটির কেউ নেই। তবে দলের নেতারা যে যেখানে দায়িত্বে আছেন সেই জেলায় কমিটির কাজকর্ম নজরে রাখবেন।
সোমবার দলের একটি প্রচার মিছিল ও সভার অনুমতি বাতিল করে প্রশাসন। নতুন করে আর কোনও সভা বা মিছিলের অনুমতি দিতে চায় না তারা। ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারাও এবার প্রশাসনের কাছ থেকে আর কোনও অনুমতি চাইবেন না। নিজেদের মতো সভা-মিছিল করবে।