নয়াদিল্লি : গুজরাতে প্রকাশ্যে মুসলিম যুবকদের মারধর করল পুলিশ। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই তপ্ত রাজনীতি। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র সাকেত গোখেল বলেছেন, প্রকাশ্যে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে মোদিরাজ্যের পুলিশ। এরপরও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা না করার বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক। মোদ-শাহর খাস তালুক গুজরাতে মুসলিম হওয়ার অপরাধে বৈদ্যুতিন খুঁটিতে বেঁধে পেটাচ্ছে পুলিশ, এরপরেও মানবাধিকার লঙ্ঘন না হলে আর কী হবে! ভাইরাল ভিডিওর ঘটনাটি সম্পর্কে জানা গিয়েছে, গুজরাতের খেড়া জেলার স্থানীয় অপরাধ দমন শাখার পুলিশ আধিকারিক এভি পারমের মারধরের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত। অভিযুক্ত আরেক আধিকারিক ডিবি কুমাবত অপরাধ দমন শাখার সাব ইনসপেক্টর। সোমবার রাতে গরবা অনুষ্ঠানের পর এই ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে মারধর করে চার যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন-তিথিনক্ষত্র মেনে দ্বাদশীতে কঙ্কালীতলায় হল কুমারীপুজো
পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষ। তাঁদের প্রশ্ন, আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে কেন প্রকাশ্যে নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা? পুলিশের ভূমিকার সমালোচনায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেসও। তৃণমূল নেতা সাকেত গোখেল মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন। দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ট্যুইট করেছেন, এই বেআইনি ঘটনা ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্যে। কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম ট্যুইট করেছেন, প্রথমে বুলডোজার, তারপর লাঠিপেটা! উত্তরপ্রদেশ, অসমের পর এবার গুজরাতে খোদ রাজ্য পুলিশ বিচারক এবং জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ। চাপের মুখে গুজরাত পুলিশের সাফাই, আইন হাতে তুলে নিয়ে ঠিক করেননি ওই পুলিশ আধিকারিকরা। স্থানীয় অপরাধ দমন শাখার সাত আধিকারিকের বিরুদ্ধে এজন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।