প্রতিবেদন : লালসাহেবের (প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ) মেয়ে আলিফা আহমেদ মনোনয়ন পর্ব সেরে ফেলেছেন। দিনরাত এক করে চষে ফেলছেন কালিগঞ্জ বিধানসভার এ কোণ থেকে সে কোণ। বিজেপি-কংগ্রেস শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছে কয়েক যোজন। লক্ষ্য একটাই, জেতার মার্জিন যতটা বাড়ানো যায়। আর সেইসঙ্গে মানুষকে বোঝাচ্ছেন কংগ্রেসকে একটা ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা। কারণ, দেশে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই সেই রাজনৈতিক দল, যারা বারবার বিজেপির জয়রথ আটকে দিয়েছে। কিন্তু সুযোগ পেয়েও কংগ্রেস তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং বহু জায়গায় বিরোধী কংগ্রেস থাকায় বিজেপির সুবিধা হয়েছে। কালীগঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেসের দখলেই ছিল। প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ (লালসাহেব)-এর তুমুল জনপ্রিয়তা এমনিতেই তৃণমূল কংগ্রেসকে এগিয়ে রেখেছে। তাঁর অকাল প্রয়াণে তাঁরই সুযোগ্যা কন্যা আলিফা আহমেদের উপর ভরসা রেখেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। যিনি মহুয়া মৈত্রর মতোই কর্পোরেট রাজনীতির জগতে প্রবেশ করেছেন। মানুষের সাড়াও পাচ্ছেন ব্যাপক। সঙ্গে রয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। সব মিলিয়ে আগামী ১৯ জুন এই বিধানসভার উপনির্বাচনে ভোটদানের ছবি বলে দেবে কালীগঞ্জে ফের তৃণমূলের জয়জয়কার হতে চলেছে। ২৩ জুন ফলপ্রকাশে তা দেখাও যাবে।
প্রার্থী আলিফা আহমেদ শনিবার পলাশির দেবগ্রামের হাটগাছা অঞ্চলে সকালে প্রচার সারেন। সঙ্গে ছিলেন কালীগঞ্জ অঞ্চলের ব্লক সভাপতি দেবব্রত মজুমদার, হাটগাছা অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি জাকির হোসেন, নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য সাইদুল্লাহ শেখ-সহ তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এদিন বিকেল ও সন্ধ্যায় বাড়ি-বাড়ি প্রচার করেন।
কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রচারে ঝড় তুলল তৃণমূল কংগ্রেস
কংগ্রেসকে একটা ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা
