দিলীপ ঘোষ এবং গদ্দারকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশ্ন তুলল, নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কেন জিজ্ঞাসাবাদ এবং গ্রেফতার করা হচ্ছে না দিলীপ ঘোষকে? কী করছে সিবিআই-ইডি? সারদাকর্তার চিঠির ভিত্তিতে কেন কাঁথি পুরসভায় গিয়ে তদন্ত শুরু করছে না ইডি? গ্রেফতার করছে না গদ্দারকে? তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে একহাত নেন দুজনকে। বুঝিয়ে দেন, এফআইআরে নাম থাকা চরম দুর্নীতিগ্রস্ত, বিশ্বাসঘাতক বিরোধী দলনেতার জেলযাত্রা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। দিলীপের বাড়ির দলিল নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে পাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মুখপাত্রের প্রশ্ন, কেন জেলের ভাত খাবেন না দিলীপ? একই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন গেরুয়া মুখপাত্র অমিত মালব্যের উদ্দেশেও। বালেশ্বরের রেলদুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিলীপ ভিত্তিহীন মন্তব্য করায় তাঁকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করা হল। তৃণমূলের বক্তব্য, রেলমন্ত্রী থাকার সময় একটি দুর্ঘটনায় নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ না করে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। তৃণমূলের কটাক্ষ, বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থলে অজস্র রক্তাক্ত মৃতদেহ, আহতদের মাঝে যেখানে শুধুই আর্তনাদ এবং হাহাকার, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর নামে গেরুয়া সমর্থকেরা স্লোগান দেয় কোন লজ্জায়? প্রধানমন্ত্রীর বারবার পোশাক বদলই বা কোন রুচির পরিচায়ক? দুর্নীতিগ্রস্ত গদ্দারের প্রতি হুঁশিয়ারি, এক মাঘে শীত যায় না। আজ না হয় কাল, জেলে ঢুকতেই হবে গদ্দারকে।