তৃণমূল কংগ্রেসে অপরাধীদের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’। মালদহের তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা দুলাল সরকার খুনে মূল চক্রী হিসাবে উঠে এসেছে নরেন্দ্রনাথের নাম। সেই তৃণমূল নেতা তথা দলের মালদহ শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে এবার ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করল রাজ্যের শাসকদল। মালদহ জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটেয় সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিক ভাবে নরেন্দ্রনাথকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানালেন মালদহের তৃণমূল সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সি।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে স্ত্রীকে ধর্ষণের ‘ছাড়পত্র’ বন্ধুদের, বিদেশে বসে ভিডিয়ো দেখতেন স্বামী
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এই মুহূর্তে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। বুধবার রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন দুলাল খুনে ‘মূল চক্রী’ হল নরেন্দ্রনাথ এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ স্বপন শর্মা। ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর তথা মালদহের তৃণমূল সহ সভাপতি দুলালকে খুনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাঁচ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নরেন্দ্রনাথকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তাঁকে এবং স্বপনকে মঙ্গলবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে সকালে দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়। বুধবার নরেন্দ্রনাথ এবং স্বপনকে আদালতে হাজির করানো হলে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। টাকার লেনদেন, কল রেকর্ডিং সবদিক দেখেই ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।