প্রতিবেদন : শনিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এই সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, অভিষেক আদালত অবমাননা করেছেন বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছেন। এ-বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী? উত্তরে কুণাল বলেন, সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আদালত ও বিচারপতিদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা ও সম্মান রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের। উনি আদালতের দেওয়া রক্ষাকবচের কথা উল্লেখ করেছেন। যে রক্ষাকবচকে ঢাল করে বাংলায় ভোটের সময় ও আগে-পরে গন্ডগোল, অশান্তি, হিংসার বাতাবরণ তৈরি করছে বিজেপির এইসব রক্ষাকবচধারী নেতা-কর্মীরা। আদালতের এই রক্ষাকবচের কারণেই পুলিশও কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না।
আরও পড়ুন-সিপিএমের দুই ‘স্টার’ নিজেদের বুথেই হেরে ভূত
উদাহরণ তুলে তার ব্যাখ্যা দিয়ে কুণাল বলেন, ১. ২৩ জুনের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির নির্দেশনামায় দেখা যাচ্ছে, বিজেপির যারা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। আবার লক্ষণীয় ২. ৩০ জুন পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে অভিযুক্তদের সুরক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। ৩. ৩ জুলাই একেবারে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আদালত অভিযুক্তদের পক্ষে নির্দেশ দিচ্ছেন, তাদের থানায় সশরীরে গিয়ে দেখা করার দরকার নেই। শুধু ফোনে জানিয়ে দিলেই হবে তারা কোথায় রয়েছেন। কুণালের কথায়, ভাবা যায় অভিযুক্তদের নিয়ে আদালতের এমন রায় হতে পারে! অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করছেন। ৪. নন্দীগ্রামের একগুচ্ছ হিংসার মামলায় জড়িত অভিযুক্তদের রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ভোটের ঠিক আগে। তাঁর কটাক্ষ, রাজ্য সরকার যেমন বিভিন্ন ক্রেতাসুরক্ষা মেলা করে— পরিষেবা দেয়। তেমনি ইদানীং আদালতও সুরক্ষা মেলায় কবচ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন-মহামেডানকে জেতালেন ডেভিড
ফলে শুভেন্দুর মতো গদ্দার-হুলিগানরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ফলে পবিত্র কর, মেঘনাথ পাল, অশোক করণের মতো বিজেপির অভিযুক্তরা যখন জেনেই গিয়েছে যে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না প্রশাসন তখন তারা তো বেপরোয়া হয়ে উঠবেই। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চরম আক্ষেপ থেকেই কথাগুলি বলেছেন। একটা লোক ক্রমাগত বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে সুরক্ষা কবচ পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাই নিশ্চিন্তে ষড়যন্ত্র করছে, হামলা চালাচ্ছে। কারণ ৩৫৫ করাতে হবে। আসলে সেটা করানোর জন্য ‘পরিবেশ তৈরি করতে হবে’। রক্ষাকবচকে ঢাল করে অভিযুক্তদের বেপরোয়া মনোভাবকেই অভিষেক লক্ষ্যবস্তু করেছেন, আদালত বা বিচারব্যবস্থাকে নয়।