সংসদে মোদি সরকারকে কোনঠাসা করতে কোমর বাঁধছে তৃণমূল কংগ্রেস

সংসদে হাজির থেকে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে হুইপ জারি করল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার ২ এপ্রিল সংসদে আলোচনা হবে ওয়াকফ বিল নিয়ে।

Must read

প্রতিবেদন: সংসদে হাজির থেকে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে হুইপ জারি করল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার ২ এপ্রিল সংসদে আলোচনা হবে ওয়াকফ বিল নিয়ে। সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনের মেয়াদ আর মাত্র চারদিন৷ শুক্রবারই শেষ হবে এবারের বাজেট অধিবেশন৷ তার আগেই মোদি সরকার পাশ করাতে মরিয়া ওয়াকফ সংশোধনী বিল। বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিতে কোমর বেঁধে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবির৷ মোদি সরকারকে কোনঠাসা করতে একজোট বিরোধীরা। যৌথ সংসদীয় কমিটির পর্যালোচনা ও সংশোধনের পরে পরিমার্জিত ওয়াকফ সংশোধনী বিলটিকে সংসদে আবার পেশ করে পাশ করাতে হবে সরকারকে৷ দিল্লিতে সংসদীয় সূত্রের দাবি, সংসদে বিলটির উপস্থাপনার স্তরেই তার তীব্র বিরোধিতা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। জানালেন দলের রাজ্যসভা দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। আগেই তৃনমুল কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভা সাংসদ সাকেত গোখেল জেপিসিতে এই বিলটি সরকার অগনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এনেছে দাবি তুলে তীব্র বিরোধিতা করে। একইসঙ্গে সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, আরজেডি সহ গোটা বিরোধী শিবির৷ এই পরিস্থিতিতে কবে সরকার বিলটি পেশ করে সেই বিষয় নিয়েই দিল্লির রাজনৈতিক মহলে চলছে জল্পনা৷ এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সোমবার কংগ্রেসও জানিয়েছে, জেপিসিতে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করে বিলটিকে গায়ের জোরে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ ওয়াকফ বিল আমাদের দেশের সংবিধানের উপরে সরাসরি আক্রমণ৷ আমরা সবাই বিলটির সার্বিক বিরোধিতা করবো৷

আরও পড়ুন-সমস্বরে গর্জে উঠলেই ধ্বংস হবে বিজেপির মিথ্যাচারের রাজনীতি

উল্লেখ্য, ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে এখনও অসন্তোষ আছে মোদি সরকারের অন্দরে৷ বিলটির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক, এই আশঙ্কার জেরেই জেডি(ইউ), টিডিপি, এলজেপি চায় না এখনই পাশ করানো হোক এই বিল৷ নরেন্দ্র মোদি সরকারের অন্যতম বড় শরিক টিডিপি নেতা তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু মুসলিমদের পাশে দাঁড়িয়ে ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষার ডাক দিয়ে নতুন করে বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছেন বিজেপিকে। শরিকদের প্রতিবাদ শুনতে নারাজ মোদি সরকারের শীর্ষস্তর শেষ পর্যন্ত সংসদের চলতি অধিবেশনে ওয়াকফ বিল পাশ করানোর ঝুঁকি নিতে পারবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা আছে রাজনৈতিক মহলে৷

Latest article