প্রতিবেদন : সন্দেশখালির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এই ঘটনাকে জাতীয় স্তরে প্রচারে তুলে আনল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা, সাংসদ সাগরিকা ঘোষ ও সাকেত গোখেল। বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতে বাংলা বিরোধী বিজেপি সন্দেশখালির সাজানো ঘটনা নিয়ে দেশ জুড়ে মিথ্যা প্রচার করেছিল। শনিবার সব ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এবার মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছে না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এদিন দিল্লির বুকে সাংবাদিক বৈঠক করে মিথ্যাচারী বিজেপিকে তুলোধোনা করল তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সন্দেশখালির ঘটনা যে পরিকল্পনা করে সাজানো হয়েছিল তা কি জানতেন না প্রধানমন্ত্রী? তাহলে কি ধরে নিতে হবে সব জেনেশুনে শুধু নির্বাচনে জিততে তিনি দিনের পর দিন সন্দেশখালির মিথ্যে অভিযোগ নিয়ে প্রচার করেছেন এবং বাংলাকে বদনাম করেছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর জন্য বিজেপিকে ক্ষমা চাইতে হবে। রবিবার দিল্লির সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই দাবিতে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করল তৃণমূল। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, সর্বভারতীয় মঞ্চে বাংলাকে বদনাম করতেই সন্দেশখালির ঘটনা সাজিয়েছিল বিজেপি। বাংলায় মহিলাদের অধিকার ও সুরক্ষা নিয়ে কোনও আপস করে না তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। এটা ভালভাবেই জানে বিজেপি। তাই গোটা দেশের সামনে বাংলার নারী ক্ষমতায়নকে হেয় করতেই সন্দেশখালির মহিলাদের ব্যবহার করেছে বিজেপি। যা অত্যন্ত লজ্জার ও দুঃখের ঘটনা।
আরও পড়ুন-কীর্তি আজাদের সমর্থনে রোড-শো, জনজোয়ারে জননেত্রী
বিজেপিকে আক্রমণ করে সাংসদ সাকেত গোখেল বলেন, বাংলা তথা দেশকে আরও ৩০ বছর পিছিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সরকার। ব্রিজভূষণ থেকে শুরু করে একাধিক উদাহরণ তুলে তিনি বলেন, যৌন হেনস্থাকারীদের বিজেপি কীভাবে পুরস্কৃত করে গোটা দেশ জানে। কিন্তু ধর্ষণের মতো সংবেদনশীল ঘটনা নিয়ে যে কুৎসিত খেলা বিজেপি খেলল, তাতে গোটা দেশের মহিলাদের এত দিনের লড়াই আরও ৩০ বছর পিছিয়ে গেল। ক্ষমতা থাকলে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামুক বিজেপি, কিন্তু বাংলাকে এভাবে অপমান করার কোনও অধিকার তাঁদের নেই। এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকেও আক্রমণ করে সাকেত গোখেল বলেন, প্রায় ১৮ ঘণ্টা হয়ে গেল এই চক্রান্তের ঘটনা সামনে চলে এসেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এখনও নীরব। বিজেপির এই মিথ্যে প্রচার নিয়ে তাঁদের তরফে কোনও সাড়াশব্দ নেই। দলের আরও এক রাজ্যসভার সদস্য সাগরিকা ঘোষ বলেন, সন্দেশখালির ঘটনা বিজেপির ষড়যন্ত্র। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করাই ছিল বিজেপির আসল উদ্দেশ্য। সে-কারণেই তারা সন্দেশখালিতে বড়সড় ষড়যন্ত্র করে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছিল। এই বিজেপি ভোটে জেতার জন্য সব করতে পারে। মেয়েদের ব্যবহার করে মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ করা তাঁদের পক্ষেই সম্ভব। সন্দেশখালি-কাণ্ডের আসল দোষী বিজেপি নেতারা। জমি আন্দোলনে কাজ না হওয়ায়, সন্দেশখালির মহিলাদের দিয়ে মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছিল। এর জন্য ওই মহিলাদের প্রত্যেকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। সবমিলিয়ে বাংলার বদনাম করতেই এই চক্রান্ত করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। আর প্রধানমন্ত্রী সব জেনেশুনে এই মিথ্যে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন শুধু ভোটে জেতার তাগিদে।