মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বসন্তকুঞ্জের বাঙালির পাশে তৃণমূল কংগ্রেস

এবার তাঁরই নির্দেশে, রবিবার দিল্লির বসন্তকুঞ্জ জয় হিন্দ কলোনির হতদরিদ্র মানুষগুলোর খবর নিতে তাঁদের পাশে দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল।

Must read

প্রতিবেদন : বাঙালি হলেই উৎখাত করো! দেশের বিজেপি-শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালি হটাও-এর এই পরিকল্পনামাফিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম সমাজমাধ্যমে গর্জে ওঠেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁরই নির্দেশে, রবিবার দিল্লির বসন্তকুঞ্জ জয় হিন্দ কলোনির হতদরিদ্র মানুষগুলোর খবর নিতে তাঁদের পাশে দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল।

আরও পড়ুন-ফালাকাটায় ১০০ বিজেপি সমর্থক দল ছেড়ে তৃণমূলে

এদিন সকালবেলায় রাজ্যসভার তিন সাংসদের প্রতিনিধি দল সুখেন্দুশেখর রায়, সাগরিকা ঘোষ ও সাকেত গোখেল ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ঘণ্টাখানেক জয় হিন্দ কলোনিতে হতদরিদ্র পরিবারগুলোর খোঁজ নিতে গিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে বিজেপির চরম নির্মমতার কথা শুনে তীব্র নিন্দায় ফেটে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, যেভাবে বস্তি উচ্ছেদ করছে বিজেপি তা জরুরি সময়ের থেকেও অবর্ণনীয় পরিস্থিতি। সেই সময় জরুরি অবস্থায় বস্তি উচ্ছেদ নিয়ে গোটা দেশে আন্দোলন হয়েছিল। এই দরিদ্র কয়েকশো মানুষ বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনিতে দিন কাটান। এঁদের মধ্যে বাঙালি বেশি, অল্পকিছু অসমের পরিবার থাকে। এঁদের মধ্যে কেউ কাগজ কুড়োন, কেউ পরিচারিকার কাজ করেন। যৎসামান্য রোজগারে তাঁদের পরিবার চলে। আর্বজনার স্তূপে ভরা, দুর্গন্ধময়, এককথায় অবর্ণনীয় একটা পরিবেশে তিন দশকের বেশি সময় তাঁরা এই কলোনিতে বসবাস করেন। এই মানুষগুলো আমাদের মতোই ভারতীয়। তাঁদের কাছে যাবতীয় প্রমাণপত্র আছে। কিন্তু রোহিঙ্গার তকমা দিয়ে তাঁদের ভিটেহারা করতে নির্মমতার পরিচয় দিচ্ছে বিজেপি। ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্তকারী বিজেপির লক্ষ্য একটাই, বাঙালি খেদাও। কোনও পরিচয়পত্রের তোয়াক্কা না করে এই হতদরিদ্র মানুষগুলোকে জল ও বিদ্যুতের লাইন কেটে আরও চরম পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে চেয়ে বিজেপি এই নোংরা রাজনীতির তীব্র নিন্দায় সোচ্চার হন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।

আরও পড়ুন-মাঝনদীতে দাঁড়িয়ে কাতর আবেদন যুবকের, সেলফি তুলতে গিয়ে ধাক্কা স্ত্রীর

ইতিমধ্যেই জয় হিন্দ কলোনির জমি বিবাদ কোর্টে পৌঁছেছে। তিরিশটি পরিবার জমির মালিকানা দাবি জানিয়েছে। আদালতে মামলা বিচারাধীন। সেপ্টেম্বরে আদালতে পুনরায় শুনানি আছে। তা সত্ত্বেও জমির মালিক এবং প্রশাসনের দখলদারি, এই টানাটানির খেসারত দিতে হচ্ছে এই দরিদ্র বাঙালি পরিবারগুলিকে। এর তীব্র সমালোচনা করে সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা সর্বত্র পৌঁছে দিতেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল জয় হিন্দ কলোনিতে এই গরিব মানুষগুলির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। দিল্লিতে একাধিক রাজনৈতিক দল এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে। সুখেন্দুশেখরের আবেদন, যেভাবে অগণতান্ত্রিক, অমানবিক এবং বেআইনি পদ্ধতিতে উচ্ছেদ চলছে এই ঘটনায় এই দরিদ্র মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে একজোট হয়ে প্রতিবাদ জানানো প্রয়োজন।

Latest article