রাখি গড়াই, বিষ্ণুপুর : জনভিত্তি তলানিতে। তার ওপর বিজেপির বড় সমস্যা দলীয় কোন্দল। আর তা আবার প্রকাশ্যে চলে এল পশ্চিম মেদিনীপুরে। জেলার খড়্গপুর পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী বিধায়ক হিরণময় চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা স্থানীয় সাংসদ দিলীপ ঘোষের গোলমাল পুর নির্বাচনের আগে বিজেপিকে আরও কমজোর করে দিল। এগিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress)। ভোট আর সাতদিনও নেই। তার মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দিলীপ-হিরণ দ্বৈরথ। এই ওয়ার্ডে হিরণের প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) প্রবীণ নেতা জহর পালের বক্তব্য, বিজেপি তার মিথ্যাচারে এমনিতেই জনভিত্তি হারিয়েছে। নিজেদের ভেতরের দ্বন্দ্ব ওদের আরও লড়াই থেকে দূরে ঠেলে দেবে। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড ব্যানার, পোস্টার এবং হোর্ডিংয়ে ভরে গিয়েছে। আর তার কোনওটাতেই সাংসদ দিলীপ ঘোষের ছবি নেই। বিধায়ক হিরণের সাফাই, ‘কেন্দ্র থেকে সমস্ত ব্যানার পাঠানো হয়েছে এবং তা মণ্ডল সভাপতি থেকে শুরু করে কার্যকর্তারা লাগিয়েছেন, এখানে আমার কিছু বলার নেই।’ এই যুক্তিটা যে লাগসই নয়, তা সবাই বুঝতে পারছেন। পুরসভার হোর্ডিং দিল্লি থেকে আসবে খড়্গপুরে, এই যুক্তিটা একেবারে ছেঁদো। আর দিল্লির নির্দেশেই যদি এগুলো তৈরি হয়, সেখানে সেই জায়গার সাংসদ তথা রাজ্য সহ-সভাপতির ছবি থাকবে না, তা কী করে হয়! তবে কি পুরনো প্রতিশোধ নিচ্ছেন হিরণ? দিলীপকে পাল্টা জবাব ফিরিয়ে দিচ্ছেন? রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এটাই স্বাভাবিক। কারণ দিলীপ-অনুগামীদের পোস্টার-ব্যানারেও ঠাঁই হয়নি হিরণের। সেখানে আছেন অটলবিহারী বাজপেয়ী, নরেন্দ্র মোদি, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল প্রার্থী জহর পালের কটাক্ষ, বিধায়ক ভোটে দাঁড়িয়েছেন কাউন্সিলর হতে, তাঁর পাশে নেই সাংসদ তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির অস্তিত্ব দিলীপ ঘোষ। তাই ফল যে কী হবে সহজেই অনুমেয়।