নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনে যাবে না তৃণমূল কংগ্রেস, রাষ্ট্রপতির বদলে কেন প্রধানমন্ত্রী?

২৮ মে রবিবার নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা।

Must read

প্রতিবেদন : ২৮ মে রবিবার নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে তৃণমূল সাংসদদের না যাওয়ার দলীয় সিদ্ধান্ত সঠিক। সংবিধানের ৭৯ নং ধারায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রে যে সংসদ থাকবে তার অংশ হবে রাজ্যসভা, লোকসভা ও রাষ্ট্রপতি।

আরও পড়ুন-চড়া রোদ, প্রবল ঝড়বৃষ্টিতেও উন্মাদনা তুঙ্গে, অভিষেকের প্রতীক্ষায় পুরুলিয়া

সংবিধানের ৮৫, ৮৬ ও ৮৭ নং ধারায় রয়েছে, রাষ্ট্রপতি সংসদের অধিবেশন ডাকবেন, মুলতবি করবেন এবং লোকসভা ভেঙে দিতেও পারবেন। এছাড়াও সংসদের যে কোনও সভা বা দুই সভার যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে পারেন, বার্তা পাঠাতে পারেন রাষ্ট্রপতি। কোনও বিল বা অধ্যাদেশ ফেরতও পাঠাতে পারেন তিনি। তাঁর অনুমোদন ছাড়া কোনও বিল বা অধ্যাদেশ আইনি স্বীকৃতি পাবে না। সুতরাং সংবিধানে সংসদীয় কার্যপ্রণালীর ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে নয়, রাষ্ট্রপতিকেই বিশেষ মর্যাদা ও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অথচ, রাষ্ট্রপতিকে বাদ দিয়ে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করা হচ্ছে তা ‘অসংসদীয় অসৌজন্য’। তাছাড়া ২৮ মে, সাভারকরের জন্মদিনে কেন? লোকসভা ভোটের আগে বিভাজনের রাজনীতিকে প্রাধান্য দিতেই কি বিজেপির এই কৌশল?

আরও পড়ুন-সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছে রাজভবন

কেন রাষ্ট্রপতির হাতে উদ্বোধন হল না সংসদ ভবনের প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ট্যুইটারে লিখেছেন, সংসদ ভবন শুধুমাত্র নতুন একটি নির্মাণ নয়। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে রয়েছে পুরনো ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, প্রথা এবং বিধি। সংসদ গণতন্ত্রের ভিত। প্রধানমন্ত্রী মোদির সেটা জানা নেই।

Latest article