দেবর্ষি মজুমদার, বীরভূম : পাঁচটি পুরসভায় সবুজঝড়ে উড়ে গেল বিরোধী দল। শুধুমাত্র রামপুরহাট পুরসভার একটি ওয়ার্ডে শিবরাত্রির সলতের মতো টিমটিম করে জ্বলছে বিরোধী দল হিসেবে সিপিএম। সেটি হল রামপুরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। যদিও এই ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী সঞ্জীব মল্লিকের বিরুদ্ধে ইভিএম ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। তিনি জেল হেফাজতে ছিলেন। জয়ী হওয়ার পরে তাঁকে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিপুল জয় প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) জেলা চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০ বছর পর রামপুরহাট পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে এল। একজনও বলতে পারবেন না, এখানে কোনও অশান্তি হয়েছে। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে জয়ের সূচনা হয়েছে। যে বিরোধীরা ছাপ্পা ভোটের কথা বলেছিলেন, তাঁদের প্রশ্ন করুন, কে বা কারা ছাপ্পা দিতে গিয়েছিল? কারা ধরা পড়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করলে, এইভাবে বিরোধীরা ধুয়েমুছে সাফ হত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাংলার মানুষের জন্য এনেছেন, তার প্রতিফলন ইভিএমে ঘটেছে। তবে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে দল পর্যালোচনা করবে।
একইভাবে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সুখে-দুঃখে সারা বছর থাকেন, তাই এই ফল হয়েছে। বোলপুর পুরসভায় দশটি পুরসভায় তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। বাদবাকি ১২টি ওয়ার্ডে নির্বাচনে জয়লাভের পর ২২-০ হল বোলপুরে। একইভাবে দুবরাজপুর পুরসভায় আগেই পাঁচটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। বাকি ১১টিতে তৃণমূল জয়ী হওয়ায় ওখানেও ১৬-০ ফল। একইভাবে সাঁইথিয়া পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে চার ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনে শাসক দলের জয়ের পর, সাঁইথিয়া পুরসভাটি তৃণমূলের দখলে আসে। সিউড়ি পুরসভার যে পাঁচটি ওয়ার্ডে ভোট হয়েছিল সব ক’টিতেই জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কার্যত সিউড়ি পুরসভা হল বিরোধীশূন্য। শুধু তাই নয়, বিজেপি অধিকাংশ ওয়ার্ডে তৃতীয় স্থানে। অনেক বিরোধী প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে। জেলার পাঁচটি পুরসভায় বিরোধীরা নিশ্চিহ্ন হওয়ায়, ফল ঘোষণা শুনেই কর্মী-সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। শুরু হয়ে যায় সবুজ আবির নিয়ে মাখামাখি।