সংবাদদাতা, কাঁথি : রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শহরে ফের সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। কয়েকদিন আগেই কাঁথির ‘পদ্মপুকুরিয়া পদ্মশ্রী সমবায় সমিতি’-র নির্বাচনে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের কাছে হেরেছে। তারই রেশ কাটতে না কাটতে ফের কাঁথির জনমঙ্গল সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতির নির্বাচনে জয়ী হলেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, এবার জনমঙ্গল সমবায় সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী দিতেই পারেনি বিজেপি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই জনমঙ্গল সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। সেদিন তৃণমূল সমর্থিত ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। বিজেপি বা অন্য কোনও দলের কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় ওই ১২ জনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। আগামী ৬ অগাস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। জয়ী প্রার্থীরা হলেন অনুপকুমার দাস, দর্পহরী কাণ্ডার, হরিহর পাল, খোকন চক্রবর্তী, সঞ্জীব জানা, শ্যামাপ্রসাদ জানা, সিদ্ধেশ্বর প্রধান, শেখ এরশাদ আলি, স্বপন দাস, ঝর্ণা বর্মন, কৃষ্ণা ঘড়াই ও বিশ্বজিৎ বেরা। জয়ীদের অভিনন্দন জানান মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান প্রমুখ। কাঁথির এই সুপ্রতিষ্ঠিত সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপি কেন প্রার্থী দিতে পারল না সেটাই এখন শহরে চর্চার বিষয়। রামনগর-২ ব্লকের বড়রাক্কুয়া সমবায় সমিতিতে সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। শুধুমাত্র তৃণমূল প্রার্থীরাই ৪৫টি আসনে মনোনয়ন জমা দেন। অন্য কোনও দলের মনোনয়ন জমা না পড়ায় তৃণমূলকে (Trinamool Congress) জয়ী ঘোষণা করা হয়। ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য অনুপ গিরি বলেন, সমিতির পরিচালন ক্ষমতা ফের তৃণমূলের দখলে এল। রামনগর-১ ব্লকের কাঁটাবনি আটমহল হাই মাদ্রাসার নির্বাচনেও অন্য কারও মনোনয়ন জমা না পড়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেল শাসকদল। তৃণমূলকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রদীপ মজুমদার মন্ত্রী হওয়ায় বাড়ল কৃষিনির্ভর শিল্প-সম্ভাবনা