সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর : কোথায় থামতে হবে বিএসএফকে, কড়া বার্তা দিয়ে তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সতর্ক করে দিলেন, নিজেদের এক্তিয়ারের বাইরে যেন পা না রাখার চেষ্টা করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
আরও পড়ুন-রানাঘাটে হবে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস
বৃহস্পতিবার নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি আবারও স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন, কেন্দ্র যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, বা যে নির্দেশই দিক বিএসএফকে, সীমান্ত থেকে ১৫ কিমির বেশি কোনওভাবেই ঢুকতে পারবে না তারা। এক্তিয়ার ছাড়ানোর প্রচেষ্টা বরদাস্ত করবে না রাজ্য প্রশাসন। সীমান্তে নজরদারির দায়িত্ব বিএসএফের। কিন্তু তারা যেন জেলার ভিতরে ঢুকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে নাক না গলায়। এ ব্যাপারে সতর্ক নজর রাখার জন্য সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং আবু তাহেরকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-গঙ্গাভাঙন রুখতে প্রস্তাব চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করে ট্যুইট করেন। তার পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, নরেন্দ্র মোদি গুজরাতে থাকার সময় বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে প্রতিবাদ করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি দিয়েছিলেন। রাজ্যপাল যেন সেই চিঠি তথ্যের আইন অধিকারে সংগ্রহ করে পড়ে নেন।
আরও পড়ুন-সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে
আসলে তিনি বিজেপি নেতাদের মতোই মিথ্যাচার করছেন। এর আগেও বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন মমতা। নদিয়ার করিমপুর। কৃষ্ণনগর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে মুর্শিদাবাদের কাছে। সীমান্তের এই বিস্তীর্ণ অঞ্চল রয়েছে বিএসএফের অধীনে। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট কথা, বিএসএফ তাদের কাজ করবে, আর পুলিশ তাদের কাজ করবে। বিএসএফ তার এক্তিয়ার ছাড়ালে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত লাগবে।