প্রতিবেদন: কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে অবিলম্বে পদচ্যুত এবং বরখাস্ত করার দাবি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তৃণমূলের প্রশ্ন, সব জেনেশুনেও এমন অযোগ্য, ব্যর্থ এবং অপদার্থকে কেন আবার শিক্ষামন্ত্রক এবং রেলমন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হল? নিট-নেট কেলেঙ্কারি এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য নরেন্দ্র মোদির গেরুয়া কেন্দ্রকে সম্পূর্ণ দায়ী করে এই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তৃণমূলের প্রশ্ন, লোকসভা নির্বাচনে এতবড় বিপর্যয় থেকেও কি শিক্ষা নিলেন না মোদি?
নিট এবং নেটের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। নিটের মাধ্যমে ডাক্তারিতে আসন পাইয়ে দেওয়ার নামে যখন কোটি কোটি টাকা লেনদেনের ঘটনা স্পষ্ট হয়ে উঠছে, নেপথ্যে গেরুয়া যোগও বেআব্রু হয়ে পড়ছে, ঠিক তখনই ফাঁস হয়ে গেল অধ্যাপক নিয়োগের পরীক্ষা নেটেও ব্যাপক অনিয়মের ঘটনা। শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নেট পরীক্ষার একদিন পরেই বুধবার রাতে তা বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিআই তদন্তের। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সাফাই গাইতে শুরু করেছেন। কিন্তু আসল দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের কঠোর শাস্তির দাবিতে অনড় বিরোধীরা। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিক্ষোভ। তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেলের অভিযোগ, দেশের সমস্ত পরীক্ষা-ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস, অনিয়ম এবং দুর্নীতি সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। নিট-কেলেঙ্কারির পরেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে ইউজিসি-নেট পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়মের ঘটনা। পরীক্ষার একদিনের মধ্যেই তা বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। প্রমাণিত হচ্ছে পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা এনটিএ-র অপদার্থতা। এভাবেই মেধাবীদের ভবিষ্যৎ এবং জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। বিজেপি এবং এনডিএ সরকার এতটাই নির্লজ্জ যে এর দায়িত্ব পর্যন্ত স্বীকার করছে না তারা। এদিকে নিট-নেট কেলেঙ্কারির জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্রভাষায় আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সংসদে বিষয়টি তোলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মোদিকে একহাত নিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবও।
আরও পড়ুন- মহিলাদের ক্ষমতায়ন পথ দেখাচ্ছে বাংলাই: ডেরেক ও’ব্রায়েন