প্রতিবেদন : মিথ্যাচারের রাজনীতি যে সিপিএমের (CPIM) রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফের তা প্রমাণ হয়ে গেল। কিংবদন্তি চিত্রপরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ছবি নিয়েও মিথ্যাচার করতে ছাড়ল না সিপিএম। অবশ্য সেটা করতে গিয়েও অত্যন্ত কাঁচা স্ক্রিপ্ট হওয়ায় বমাল ধরা পড়ে গিয়েছে কমরেডরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এখন কী করবে ভেবে পাচ্ছে না। সম্প্রতি ঋত্বিক মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সহযোগিতায় নাকতলা হাই স্কুলে ‘কোমল গান্ধার’, ‘আমার লেনিন’ দেখানোর কথা ছিল। এই নিয়ে মিথ্যাচার করে তাদের মুখপত্র গণশক্তিতে ফলাও করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নামে ভুল খবর প্রকাশ করে। আর এই খবর প্রকাশ হতেই গণশক্তির সম্পাদককে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অতীন দাস। সেই চিঠিতে প্রধান শিক্ষক কার্যত নাকে ঝামা ঘষে দিয়েছেন কমরেডদের।
আরও পড়ুন-ওয়াকফ নিয়ে তুলকালাম সংসদে, বিরোধীদের চাপে জেপিসি রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ডিসেন্ট নোট
সিপিএমের মিথ্যাচারের হাঁড়ি একেবারে হাটে ভেঙে দিয়েছেন তিনি। লাল ঝাণ্ডার মুখপত্রে লেখা হয়েছে, তৃণমূল গিয়ে নাকি আমার লেনিন ছবিটি না দেখানোর জন্য হুমকি দিয়েছে। কিন্তু এই বিষয় যে সম্পূর্ণ মিথ্যে তা প্রকাশ করেছেন প্রধান শিক্ষক। তিনি তাঁর চিঠিতে স্পষ্টতই জানিয়েছেন, গণশক্তির এই খবর একেবারেই বিভ্রান্তিকর। কোনও রকম ভিত্তি ছাড়াই তাঁরা এই খবর প্রকাশ করেছে। এমনকী প্রধান শিক্ষকের মুখ দিয়ে যে কথা বসানো হয়েছে তাও সর্ম্পূণ তাঁদের মনগড়া। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ৫ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায় কিন্তু প্রধান শিক্ষক তাঁর চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়েছেন ওই দিন স্কুল ছুটি ছিল সুতরাং কেউ চড়াও হওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। অতএব সব মিলিয়ে এ বিষয়টি যে স্রেফ সস্তার রাজনৈতিক মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয় তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সিপিএম রাজনৈতিকভাবে হালে পানি না পেয়ে পেছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে অপদস্থ করতে চাইছে। কিন্তু আরও একবার তাদের মিথ্যের মুখোশ খুলে গেল। এবার কী বলবেন সবজান্তা কমরেডরা?