প্রতিবেদন : মানিকতলা-সহ চার কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরের মানুষও দু’হাত উজাড় করে মা-মাটি-সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন। মানিকতলা বিধানসভার উপনির্বাচনে নিকটবর্তী প্রার্থীকে ৬২ হাজার ৩১২ ভোটের রেকর্ড মার্জিনে হারিয়ে জিতলেন তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডে। লোকসভা নির্বাচনের একমাসের মধ্যে উপনির্বাচনে কীভাবে এল এতবড় জয়? কোন পথে কোন সমীকরণে প্রচারের মাধ্যমে চার কেন্দ্রে জয় পেল তৃণমূল? ব্যাখ্যা দিলেন মানিকতলার কোর কমিটির আহ্বায়ক কুণাল ঘোষ। বড় বড় মিটিং-মিছিল ও বাড়ি-বাড়ি প্রচারের পাশাপাশি বুথভিত্তিকভাবে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা ও ভুল বোঝাবুঝি সমাধানেই মানুষ বিপুল সমর্থন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সম্মেলনেও একুশের বার্তা
জয়ের পরই সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা থ্রি-টায়ার ফোর-টায়ার স্ট্র্যাটেজিতে ক্যাম্পেন করেছি। উপনির্বাচনে সাধারণত ভোটটা একটু কম পড়ে। তাই আমরা টেম্পোটা তোলার জন্য বড় মিটিং-মিছিল করেছি। পরবর্তী আমরা ডোর টু ডোর প্রচার করেছি, কখনও প্রার্থীকে নিয়ে, আবার কখনও প্রার্থী ছাড়া। মানিকতলা জয়ের নেপথ্য কাহিনি নিয়ে কোর কমিটির আহ্বায়ক আরও বলেন, কোথাও কোনও আবাসন বা কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় আমাদের যদি কোনও দুর্বলতা থাকে বা কোনও ভুল বোঝাবুঝি থাকে, সেখানে কখনও দলের পতাকা নিয়ে, আবার কখনও পতাকা ছাড়াই স্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাঁরা যদি কোনওভাবে আমাদের ভুল বোঝেন, সেটা যাতে কেটে যায় কিংবা আমাদের তরফেও যদি কোনও ভুল থাকে, সেটা যাতে সংশোধন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারপর ওয়ার্ডভিত্তিকভাবে বুথ ধরে ধরে যেখানে আমাদের ভোটে ঘাটতি ছিল, সেখানে আমরা আলাদাভাবে টিম পাঠিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। গোটা তৃণমূল পরিবার এমনভাবে প্রচারের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাতে মানুষ সাড়া দিয়েছেন।