সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : কারখানা কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতির ফলে বারে বারেই ঘটে চলেছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। অকালে প্রাণ যাচ্ছে নিরীহ কর্মীদের। প্রতিবারই দুর্ঘটনার পর কয়েকদিন শীর্ষ আধিকারিকরা লোকদেখানো তৎপরতা দেখান। ২০২২-এ ধারাবাহিক দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ১০ থেকে ১২ জন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মীর।
আরও পড়ুন-ভাঙনে বিধ্বস্ত দল, বিধানসভায় ছন্নছাড়া চেহারা বিজেপির
স্থায়ীকর্মীদের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হলে পরিবারের একজন চাকরি পেতেন। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর একইভাবে ঠিকাশ্রমিকের মৃত্যুর পরও তাঁর পোষ্যের স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে মূলত আইএনটিটিইউসি-র ধারাবাহিক চাপে। সোমবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হল কারখানার প্রশাসনিক ভবনে। জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি অভিজিৎ ঘটক ও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল জেনারেল ম্যানেজার পদমর্যাদার আধিকারিকদের সঙ্গে মূলত শ্রমিক নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করলেন। আলোচনা শেষে অভিজিৎ ঘটক বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি, শ্রমিক নিরাপত্তায় কোনওরকম গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না। কারখানায় স্থানীয় বেকারদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিও জানানো হয়েছে।