গদ্দারকে সেন্সরের দাবি নিয়ে কমিশনে তৃণমূল

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতার সেই ঘৃণা বক্তৃতার প্রতিবাদে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল তৃণমূল।

Must read

প্রতিবেদন : উপনির্বাচনের প্রচারে টানা উসকানিমূলক কথা বলছে দলবদলু গদ্দার তথা বিরোধী দলনেতা। সাম্প্রদায়িক প্ররোচনামূলক বক্তব্য রেখেই চলেছে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। এর প্রতিবাদে সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতার সেই ঘৃণা বক্তৃতার প্রতিবাদে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল তৃণমূল। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার ও দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। ধর্মীয় বিভাজনমূলক উসকানি দেওয়ার অপরাধে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যকে সেন্সর করার আবেদন জানান তাঁরা।

আরও পড়ুন-”পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চাওয়ার আগে মহারাষ্ট্রের উত্তর দিন” বিরোধী দলনেতাকে নিশানা দেবাংশুর

৯ নভেম্বর শনিবার এক প্রচারসভায় বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য রেখে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের চেষ্টা করেন শুভেন্দু। তিনি ধর্মীয় ভেদাভেদের চেষ্টা করেছেন, যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। তাঁর পুরো বক্তব্য পেনড্রাইভের মাধ্যমে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে জমা দেয় তৃণমূল। কুণাল ঘোষ জানান, এটি নির্বাচন কমিশনের আইনে অবিলম্বে সেন্সার করার দাবি জানাচ্ছি আমরা। তাঁর এই ভাষণ শুধু নির্বাচন বা উপনির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না, সব জায়গাতেই প্রভাব পড়বে। তাই নির্বাচন কমিশনকে এই নিয়ে কড়া বার্তা দিতে হবে। এ ধরনের বক্তব্য যাতে না দেওয়া হয় তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি আরও জানান, আমরা আশঙ্কা করছি, এই ধরনের অপকর্ম ঘটিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া হবে। অন্য রাজ্য থেকে লোক ঢুকিয়ে, ধর্ম নিয়ে গন্ডগোল বাধানোর পরিকল্পনা করছে রাজ্যের বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিয়ে, তারা আমাদের ওপর আঙুল তুলে নোংরা রাজনীতি করার পরিকল্পনা করেছে।
জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী যেখানে যাবে, সেখানে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন এবং তারাই তাঁদের ডিপ্লয়মেন্ট করবে। এটা নির্বাচনী বিধিতে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে না, এটা আমরা আজ নির্বাচন কমিশনকে মনে করিয়ে দিলাম। আর শুভেন্দু অধিকারী যেটা করেছেন, সেটা তাঁর হ্যাবিচুয়েট অপরাধ। এর বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানালাম আমরা। মন্ত্রী শশী পাঁজাও বিরোধী দলনেতার এই দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাষণের প্রতিবাদে কড়া শাস্তির দাবি জানান।

Latest article