একুশের নির্বাচনে ল্যান্ড স্লাইড ভিক্ট্রি হয়েছে তৃণমূলের। দুই অঙ্কে আটকে গিয়েছে বিজেপি স্কোর। কিন্তু ভোট প্রচারের সময় বিজেপির মঞ্চ থেকে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে “দিদি ও দিদি” বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন সেটা ভুলতে পারেননি দলীয় সাংসদরা। এবার তাই পাল্টা স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে তৃণমূল। সেটা দেখা যাবে আগামী লোকসভা অধিবেশনেই।
আরও পড়ুন-অভিষেকের নেতৃত্বেই জাতীয়স্তরে বৃদ্ধি পাবে তৃণমূলের প্রাসঙ্গিকতা
বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নরেন্দ্র মোদি বিজেপির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নজিরবিহীন কটাক্ষ করেছিলেন। ব্যঙ্গাত্মক সুরে “দিদি, ও দিদি” স্লোগান দিয়েছেন। যদিও নির্বাচনী ফলে প্রমাণ হয়েছে বাংলার বেশির ভাগ মানুষ ব্যঙ্গ মোটেই ভালোভাবে নেয়নি। বিজেপির বাংলা দখলের স্বপ্ন চুরমার হয়েছে। কিন্তু কোথাও যেন বাকি রয়ে গিয়েছে, “দিদি, ও দিদি”-র প্রতিশোধ। এবার তাই সংসদ ভবনে ভরা সভায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে “মোদি ও মোদি” স্লোগান তুলবেন তৃণমূল সাংসদরা। সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে ঢুকতে দেখলেই এই স্লোগান তুলবেন তাঁরা। তৃণমূলের সূত্রের
খবর, এই স্লোগান দিলেও, তাঁদের স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনতে পারবে না বিজেপি। কারণ তাঁরা নরেন্দ্র মোদি বলবেন না; বলবেন, “মোদি, ও মোদি”। সেটি নীরব মোদি বা ললিত মোদিও হতে পারেন। তবে এই স্লোগান যাঁর উদ্দেশ্যে তিনি ঠিক বুঝবেন।
আরও পড়ুন-গুগলের তথ্যচিত্রে এবার দার্জিলিঙের টয়ট্রেন
তৃণমূলের কথায়, রাজনীতির ময়দানে নেমে সৌজন্যে সব সীমা লঙ্ঘন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ভুলে গিয়েছিলেন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কদর্যভাবে আক্রমণ করেছিলেন। রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে “দিদি, ও দিদি” স্লোগান তুলেছিলেন। যা বাংলার মানুষ মোটেই ভালোভাবে নেয়নি। এবার সংসদে দাঁড়িয়েই তার জবাব পেতেই হবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদরা।